ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

গতিপথে স্থির ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, বাংলাদেশে ঝুঁকি কম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৫, ২৪ মে ২০২১   আপডেট: ২০:৩২, ২৪ মে ২০২১
গতিপথে স্থির ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, বাংলাদেশে ঝুঁকি কম

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এ পরিণত হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (২৩ মে) সকাল থেকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় কার্যত স্থির রয়েছে।

সোমবার (২৪ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে একই এলাকায় সকালে (১৬.৬০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৫০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছিল। এটি এখনো কার্যত স্থির রয়েছে। 

এটি রোববার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

অনুকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং বুধবার (২৬ মে) ভোর নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূলের কাছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় পৌঁছাতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

এদিকে, ইয়াসের গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ইয়াসের প্রভাব গতবছর দেশে আঘাত হানা আম্ফানের মতো প্রলয়ঙ্কারী হওয়ার আশঙ্কা কম।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বুধবার ওড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও ওড়িশার দ্বীপের মাঝে উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে এর প্রভাব পড়তে পারে।’

এদিকে, ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, স্যাটেলাইট ও জিপিএস রিডিং অনুযায়ী অতি প্রবল সাইক্লোনের আকার ধারণ করার পর বুধবার বেলা ১১টার দিকে দেশটির ওড়িষ্যার ভদ্রক জেলায় আঘাত করতে পারে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে অবস্থান করতে নিষেধ করা হয়েছে।

ঢাকা/হাসান/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়