ঢাকা     শনিবার   ১৮ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে নবোদ্যম ফাউন্ডেশন

ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৯, ৪ মে ২০২৪   আপডেট: ১৭:৩০, ৪ মে ২০২৪
সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে নবোদ্যম ফাউন্ডেশন

সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে মানবসেবার ব্রত নিয়ে নিরবছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন একদল তরুণ-তরুণী। ‘চলো বন্ধু বদলে যায়, মানবতার বিশ্ব চাই’- স্লোগানকে ধারণ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর পথচলা শুরু করে তাদের সংগঠন নবোদ্যম ফাউন্ডেশন।

ইতোমধ্যে সংগঠনটি জনকল্যাণমূলক কাজ করে সর্বমহলে স্মারক রেখেছে। মূলত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে পথশিশুদের মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে নবোদ্যম ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে সংগঠনটির বিস্তৃতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের মোট ১৯টি শাখার সেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে।

এ পর্যন্ত সংগঠনের সৌজন্যে সক্রিয়ভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে ‘সেভ দ্য টুমরো স্কুল’। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মুমূর্ষু রোগীদের রক্তের চাহিদা মেটাতে কাজ করছে তাদেরই ‘নবোদ্যম ব্লাড ফাইটার্স’। সমাজের ছিন্নমূল মানুষগুলোর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খাদ্য, নিরাপদ পানি, ঈদ উপহার, শীতবস্ত্র বিতরণ সংগঠনটির নিয়মিত কার্যক্রমের অন্তভুর্ক্ত। সুবিধাবঞ্চিত ছিন্নমূল মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড কেয়ার, শিশুদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি,পাঠচক্রসহ নানাবিধ জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে নবোদ্যম ফাউন্ডেশন। 

নবোদ্যম ফাউন্ডেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি বলেন, ‘চলো বন্ধু বদলে যায়, মানবতার বিশ্ব চাই’- স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নবোদ্যম ফাউন্ডেশন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ভৈরব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, মিরপুরসহ সারাদেশে মোট ১৯টির বেশি শাখায় এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সংগঠনের কার্যক্রমকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সার্বিক প্রচেষ্টা বিদ্যমান রয়েছে। পথশিশুকে মানবসম্পদে পরিণত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

নবোদ্যম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক শরীফ ওয়াবেদুল্লাহ বলেন, আমরা এ পর্যন্ত মোট ৫ হাজার বাচ্চাকে পড়াশোনার সুযোগ দিয়েছি। তবে এখন সবগুলো স্কুল মিলে নিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ৯৮০ জনের মতো। আমরা স্বেচ্ছাসেবী যারা আছি, তারাই প্রতি মাসে ৫০ টাকা ফি দিয়ে এটা করে আসছি। এজন্য অর্থনৈতিক দিকে দিয়ে একটু হিমসিম খাচ্ছি। তবে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা এখন স্থায়ী শিক্ষাঙ্গন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে কার্যক্রম অনেকটা পরিসমাপ্তির দিকে। এর মাধ্যমে কর্মমুখী শিক্ষা, প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ করে গড়ে তোলা, ইংরেজিতে কথা বলা শেখানো হবে।

উল্লেখ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্থায়ী কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।

/হারুন/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ