প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা
ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে সন্ত্রাস-বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটি।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
এ সময় শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ১৯৮১ সালে দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিমানবন্দরে যে লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল, সে ঢলেই অপশক্তির দুঃশাসন ভেসে গিয়েছিল। তিনি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দাঁড়িয়ে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। আজ তার নেতৃত্বে জাতির পিতা হত্যার বিচারসহ রাজাকারদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। তিনি ফিরেছিলেন বলেই স্যাটেলাইট মহাকাশে ঘুরছে।
সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের বিজয়ের গল্প রচনা করেছে। তিনি যখন প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, দেশে তখন কারফিউ গণতন্ত্র চলছিল। মিলিটারি ডিক্টেটররা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতো। সেই সামরিক শাসকদের হাত থেকে দেশে গণতন্ত্র ও শান্তি প্রত্যাবর্তন করেছেন।
দেশের ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলার মানুষের সাংস্কৃতিক জীবন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। তার জীবন বুলেট-গ্রেনেড উপেক্ষা করে জনমানুষের জন্য ছুটে চলা। একজন মানুষ যখন নিজেকে অনুপ্রাণিত হওয়ার কথা ভাবেন, তখন তার মানষপটে শেখ হাসিনার ছবি ভেসে ওঠে।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্কুল-কলেজগুলো হবে সাংবিধানিক শাসন পরিচালনার রক্ষাকবচ। আজও যারা শেখ হাসিনা ও দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, জনগণকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার পায়তারা করে, তাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীকে সচেতন থাকতে হবে।
/হারুন/মেহেদী/