ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

লকডাউনের তৃতীয় দিনে সড়কে বেড়েছে চাপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৭, ২৫ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৪:৫১, ২৫ জুলাই ২০২১
লকডাউনের তৃতীয় দিনে সড়কে বেড়েছে চাপ

ঈদ পরবর্তী লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজধানীর সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। 

রোববার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে এ কারণে বিভিন্ন চেকপোষ্টে তল্লাশিও বেড়ে যায়।  সরেজমিন এসব চিত্র দেখা যায়। 

রাজধানীর শেওড়াপাড়া, খিলগাঁও, তালতলা, আগারগাঁও, শ্যামলী, কল্যাণপুর,  মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, টিকাটুলি, কাকরাইল, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অন্যদিনের তুলনায় এদিন ব্যক্তিগত মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও রিকশার চলাচল বেড়েছে।  অনেকেই প্রয়োজনীয় কাজ করতে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন। যানবাহনগুলো কি কারণে বের হয়েছে তার জবাব চাচ্ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  এসব এলাকার  প্রধান সড়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে প্রতিটি গাড়ির ড্রাইভার কিংবা ভেতরে থাকা যাত্রীকে বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করছিলেন। কেউ কেউ সন্তোষজনক বা উপযুক্ত কারণ ব্যাখ্যা করতে পারলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।  আর যারা দিতে পারছিলেন না তাদের যেখান থেকে এসেছেন সেখানে ফেরত কিংবা অবস্থা বিবেচনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, লকডাউনের অন্যদিনগুলোয় সকাল থেকে বৃষ্টি এবং শুক্রবার, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি, পাশাপাশি ঈদের ছুটিতে মানুষ বাড়ি যাওয়া রাস্তায় যানবাহন কিংবা মানুষের চলাচল কম ছিল। তবে তৃতীয়দিন বৃষ্টি না থাকা এবং ব্যাংক খোলা থাকায় যানবাহন চলাচলের চাপ বেড়ে গেছে।   তবে উপযুক্ত কারণ ছাড়া কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে মতিঝিল থানার এসআই মো. শফিকুল ইসলাম জানান।

তিনি বলেন, সকাল থেকেই ভাই আমরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি মানুষকে ঘরে রাখার জন্য।  চেকপোষ্টে কোন গাড়ি বা ব্যক্তিকে দেখা গেলে তার কাছে উপযুক্ত জবাব চাওয়া হচ্ছে। একই অবস্থা প্রতিটি চেকপোষ্টে ছিল। 

অন্যদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে লোকজনের সংখ্যা বাড়ছে।  প্রধান সড়ক থেকে অলিগলিতে লোকজন বেশি বের হচ্ছে।  তারা অকারণে ঘোরাঘুরি করছে।  তবে এসব স্থানে পুলিশ আসলে সবাই সরে যায়, আবার পুলিশ চলে গেলে তারা বের হয়ে নিজেদের মতো করে ঘোরাঘুরি করছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ ইফতেখারুজ্জামান রাইজিংবিডিকে বলেন, সরকারি বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে আমাদের যা যা করণীয় সবকিছুই করবো।  তবে জনগণকেও সহযোগিতা করা উচিত।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ কমাতে ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।  ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল হয়। ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোরতম বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।

/মাকসুদ/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়