ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন, চলবে সবকিছু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ৮ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৭:২০, ৮ আগস্ট ২০২১
বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন, চলবে সবকিছু

বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি, কার্যকর ১১ আগস্ট থেকে। রোববার (৮ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই আদেশ জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিচের শর্তাবলী সংযুক্ত করে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

১. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে। 

২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। 

৩. সড়ক রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।

আরও পড়ুন: ১১ আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল হবে

৪. শপিংমল/মার্কেট/দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে।

৫. সব ধরনের শিল্প-কারখানা চালু থাকবে।

৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

৭. সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দফতর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ১০ আগস্টের পর সবকিছু ধাপে ধাপে খুলবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শুরু হয়। পরে তা কয়েক দফায় বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।প্রথমে ১ জুলাই থেকে জারি করা বিধিনিষেধে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা ছাড়া সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আটদিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। সে সময় সবকিছুই শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেয়া হয়। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে আবারও বিধিনিষেধ জারি করা হয়। এ দফার বিধিনিষেধ চলাকালে পোশাক কারখানাসহ সব ধরনের শিল্পকারখানা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। জরুরি সেবা, গণমাধ্যম ও খাদ্য উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট পরিবহন ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহনও ঘোষণা করা হয়।

নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়