ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বাংলাদেশের আকাশ পরিবহনে স্বপ্নসারথি ইউএস-বাংলা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৫, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ২০:০৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

আকাশ পরিবহনে নানা স্বপ্নকে সাথে নিয়ে, আকাশ পথের যাত্রীদের নানাবিধ স্বপ্নপূরণে পাশে থাকছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। একসময় বাংলাদেশের আকাশ পরিবহনের যাত্রীরা স্বপ্ন দেখতো, দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে কাজ শেষ করে দিনে যেয়ে দিনে ফিরে আসার। সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে ইউএস-বাংলার হাত ধরে।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রাম রুটে ইউএস-বাংলা ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানালেন এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, দেশের ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম পর্যটন শহর মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ভ্রমণ করার প্রগাঢ় ইচ্ছা থাকার পরও বাংলাদেশি কোনো এয়ারলাইন্স সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা না করায় এতাদিন পর্যন্ত যেতে পারেনি।  আগামী নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ঢাকা-মালে রুটে সপ্তাহে চারদিন সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। 

জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, গত প্রায় ৪৭ বছর বাংলাদেশের আকাশ পরিবহনে বিচরণকারী বিভিন্ন বিমান সংস্থা চীনের কোনো প্রদেশে সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারেনি। কিন্তু ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশি যাত্রীদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, পর্যটকরা নিজ দেশের এয়ারলাইন্সে ভ্রমণের মাধ্যমে তাদের স্বপ্নকে পূরণ করতে পেরেছেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর লাখ লাখ বাংলাদেশি ভ্রমণের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। এই জন সংখ্যার বড় একটা অংশ চিকিৎসা নিতে চেন্নাই এর বিভিন্ন হাসপাতালে যায়। অতীতে কখনই বাংলাদেশি কোনো এয়ারলাইন্স চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া এসব যাত্রীদের জন্য ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম থেকে চেন্নাই ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করেনি।  বাংলাদেশ থেকে কলকাতা হয়ে সময় ও অর্থ ব্যয় করে চেন্নাইয়ে ভ্রমণ করতে হতো। ২০১৮ থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি চেন্নাই ফ্লাইট পরিচালনা করে চিকিৎসা সেবার জন্য ভ্রমণকারীদের নানাবিধ কষ্ট ও দুঃস্বপ্নকে দূরে পাঠিয়েছে।

কামরুল ইসলাম বলেন, আকাশ পথের ভ্রমণ মানেই ফ্লাইট সিডিউল বজায় না থাকা, দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে লাগেজ প্রাপ্তিতে বিলম্ব- এসব আকাশ পথের যাত্রীদের জন্য নিত্যনৈমতিক বিষয়। সেখান থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স প্রায় ৯০% এর অধিক অন-টাইম ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে সাত বছর শেষ করে অষ্টম বছরে পদার্পণ করেছে।  আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট অবতরণ করার ১৫ মিনিটের মধ্যেই লাগেজ বেল্টে যাত্রীদের ল্যাগেজ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে ইউএস-বাংলা। ইউএস-বাংলা বিশ্বাস করে, লাগেজের জন্য যাত্রী অপেক্ষা করবেন না, যাত্রীর জন্য লাগেজ অপেক্ষা করবে।

মেয়া/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ