‘সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেড়েছে’

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে জাগরণ ঘটেছে। সে কারণে বর্তমান সময়ে সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার হারও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের শুধু বাংলা সাহিত্য বিষয়ে পড়াশোনা করতে দেখা যেত। বর্তমান সরকারের উদ্যোগের কারণে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার পাশাপাশি সঙ্গীত, নাট্যকলা, চারুকলা, নৃত্যকলা, প্রত্নতত্ত্বসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার আগ্রহ বেড়েছে।

রোববার (১ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘নগর উপাখ্যান- পারসিভ’ আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ভলান্টারি (ডব্লিউএইচভি) প্রোগ্রাম’ শীর্ষক দশ দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গেজেটভুক্ত ৫১৭টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা আছে। এসব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংস্কার-সংরক্ষণে বর্তমান সরকার কাজ করছে। 

জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. ইমরুল চৌধুরী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শাহনেওয়াজ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ইউনেস্কোর ঢাকা অফিসের অফিসার ইনচার্জ সুজান ভাইজ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বুলবুল আহমেদ। প্যারিস থেকে অনলাইনে বক্তব্য দেন গ্লোবাল কো-অর্ডিনেশন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ভলান্টিয়ার্স ইনিশিয়েটিভের পরিচালক ফ্রান্সেসকো ভোলপিনি। 

আলোচনা করেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ডেকিন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মিজানুর রশিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘নগর উপাখ্যান- পারসিভ’ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফাতিহা পলিন।

উল্লেখ্য, ‘পারসিভ’ এর নগর উপাখ্যান বিভাগ দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজন করেছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ভলান্টারি (ডব্লিউএইচভি) প্রোগ্রাম। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো—‘ইন্টারপ্রিটেশন অব দ্য টেরাকোটা প্লাক অব দ্য বুদ্ধিস্ট বিহার অ্যাট পাহাড়পুর, বাংলাদেশ’।

উল্লেখ্য, এ ভলান্টিয়ার প্রোগ্রাম ১ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এ প্রোগ্রামে ভলান্টিয়ার হিসেবে দেশ-বিদেশের স্থাপত্য, প্রত্নতত্ত্ব ও বিশ্ব ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করা শিক্ষক, গবেষক, লেখক এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন।

প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বাউলকুঞ্জে ১২ দিনব্যাপী (১ থেকে ১২ অক্টোবর) 'গণজাগরণের পালাগান উৎসব ২০২৩' উদ্বোধন করেন।