ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

রোহিঙ্গা নারীদের জন্য চীনের দেড় মিলিয়ন ডলার অনুদান

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৭:১৫, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
রোহিঙ্গা নারীদের জন্য চীনের দেড় মিলিয়ন ডলার অনুদান

বাংলাদেশে আশ্রিত নারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি উন্নয়নে দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে চীন। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকা।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের ঢাকা অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। চীনের এ অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে সংস্থাটি।

ইউএনএইচসিআর জানায়, চীনের অনুদান ১২ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৬০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী ও কিশোরীদের জন্য। চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সির মাধ্যমে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তারা এর সুফল পাবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভী বলেছেন, চীনের তরফ থেকে এই উদার অনুদান এলো এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটের সপ্তম বছর চলছে।

শরণার্থী নারী ও কিশোরীরা প্রতি বছর দুটি করে হাইজিন কিট পাচ্ছে। চীনের সহায়তায় আড়াই লাখেরও বেশি হাইজিন কিট রোহিঙ্গা নারীদের কাছে পৌঁছে দেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ইউএনএইচসিআর।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ হিসেবে চীন তার দায়িত্ব পালন করছে। বাস্তচ্যুত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা দিচ্ছে। আমরা ভবিষ্যতে ইউএনএইচসিআরের আরও কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আশা রাখি। তবে, এই সঙ্কটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নিহিত রয়েছে বাস্তচ্যুত জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে।

তিনি আরও বলেন, এই হাইজিন কিটগুলো সরবরাহ করতে ইউএনএইচসিআর ও চীন সরকার একসঙ্গে কাজ করবে। চীনের অনুদান গোসলের ও কাপড় ধোয়ার সাবান এবং বালতিসহ কিছু সামগ্রী নিশ্চিত করবে।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের মধ্য থেকে দুই শতাধিক নারী এই হাইজিন কিটগুলোর বাকি জিনিস তৈরি করবেন। এর মাধ্যমে তারা তাদের দক্ষতাকে নিজ জনগোষ্ঠীর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এবং সীমিত পরিসরে জীবিকামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের স্বনির্ভর করার প্রয়াস পাবেন।

ইউএনএইচসিআরের রিপ্রেজেন্টেটিভ সুম্বুল রিজভী আরও বলেন, শরণার্থী নারী যারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেন, তারা এই কিটের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন। তাদের কাছে এটি অতিপ্রয়োজনীয়। নিজ সমাজের নারীদের মাধ্যমে তৈরি এই সামগ্রীর গুণগত মান নিয়েও তারা সন্তুষ্ট।

হাসান/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ