ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কর কমিশনারের সুদ মওকুফ নিয়ে সংসদে চুন্নু বলেন ‘দেশের স্বার্থে কঠিনভাবে দেখা উচিত’

সংসদ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০২, ১৩ জুন ২০২৪   আপডেট: ০৯:০২, ১৩ জুন ২০২৪
কর কমিশনারের সুদ মওকুফ নিয়ে সংসদে চুন্নু বলেন ‘দেশের স্বার্থে কঠিনভাবে দেখা উচিত’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার কথা উল্লেখ করে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, একজন কর কমিশনার ১৭০ কোটি টাকা (গ্রামীণফোনসহ চারটি মোবাইল কোম্পানি) মাফ করে দেয়, সেখানে এনবিআরের চেয়ারম্যান, অর্থসচিব ও অর্থমন্ত্রী কোথায়? এগুলো দেখলে সরকারের ইমেজ বাড়বে। দেশের স্বার্থে এটা কঠিনভাবে দেখা উচিত।

বুধবার (১২ জুন) সংসদের বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মুজিবুল হক চুন্নু। এর আগে, বিকেল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

অনির্ধারিত আলোচনায় দাঁড়িয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, গ্রামীণফোনসহ চারটি মোবাইল কোম্পানির সুদ মাফ করে দিয়েছেন। এটা কেমন কথা হলো। তাহলে এনবিআরের চেয়ারম্যান, আর্থিক-ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের সচিব ও অর্থমন্ত্রী কোথায় গেলেন? তারা কি এ খবরটা রাখেন নাই? এসব অনিয়ম যে হচ্ছে..।

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুজিবুল হক বলেন, হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষেরা ঢাকা শহরের কিছু কিছু এলাকায় যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক ধরে বসবাস করে সেবা দিয়ে আসছে। 

পুরান ঢাকার বংশালের আগা সাদেক রোডের পাশের মিরনজিল্লা কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখানে প্রায় তিন হাজারের মতো হরিজন সম্প্রদায় বসবাস করেন বহুদিন ধরে, যুগের পর যুগ। তারা যে এলাকায় থাকেন সেটা নিয়ে মার্কেট করতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ মানুষগুলো জায়গার যদিও মালিক নয়। কিন্তু সিটি করপোরেশনের জায়গায় তারা যুগের পর যুগ আছে, তাদের আগে থেকে দাবি ছিল বিকল্প ব্যবস্থা করে যেন তাদের উচ্ছেদ করা হয়। কালকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে তাদের সন্তানেরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে। যার জন্য উচ্ছেদ সম্ভব হয়নি। বিষয়টি মানবিক বিবেচনা করে, বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত তাদের যেন উচ্ছেদ করা না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

‘মারা যাওয়ার পর আইসিইউয়ের বিলের জন্য লাশ আটকে রাখা হয়’ উল্লেখ করে মুজিবুল হক বলেন, সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ স্বল্পতা আছে। ঢাকার বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালসহ বড় বড় হাসপাতাল রোগী মারা যাওয়ার পরেও আইসিইউতে নিয়ে আটকে রাখে। দুই-তিন পরে বলে সে নাই (মারা গেছে)। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সুপারভিশন করে এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে.. পত্র-পত্রিকায় নিউজের পরে আমরা বলি, এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দুই-একদিন অভিযান দেখি। তারপর দেখি ঘুমিয়ে গেছে। আইসিইউ ও লাইফ সাপোর্টের বিষয়টি কঠিনভাবে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

আসাদ/এনএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়