দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়কে থাকার ঘোষণা এমপিও শিক্ষকদের
বুধবার সকাল থেকে চতুর্থ দিনের মতো ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ছবি রায়হান হোসেন।
তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে চতুর্থ দিনের মতো ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। দুপুরের মধ্যে দাবি না মানলে পূর্ব ঘোষিত শাহবাগ মোড় ব্লকেড করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আন্দোলনকারী ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’–এর সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আমরা এনসিপির নেতাদের জন্য অপেক্ষা করছি। তারা আসার পর শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি শুরু হবে।”
কর্মসূচিতে বাধা দিলে পরিস্থিতি খারাপ হবে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “আজকের শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচিতে প্রশাসন বাধা দিলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে। আপনারা আমাদেরকে শান্তিপূর্ণ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করতে দেন। আমরা কর্মসূচি শেষে পুনরায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফিরে আসবো।”
তিনি আরো বলেন, “যদি কর্মসূচিতে বাধা ও শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা হয় তাহলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যাবে। তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।”
কিছু জেলায় কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে সংবাদ আসছে। যারা বাধা দিচ্ছেন তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আপনারা হয়রানি বন্ধ করেন, নতুবা আপনাদের অফিস ঘেরাও করা হবে।”
এর আগে গতকাল বিকেলে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাইকোর্ট মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পরে সেখানেই অবস্থান নেন তারা। সেখান থেকে রাতে নতুন কর্মসূচির কথা জানান শিক্ষকনেতা দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। এতে সারা দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন। কিন্তু সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তাঁরা। লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও সংহতি জানান।
শিক্ষক-কর্মচারীদের বাকি দুটি দাবি হলো শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
ঢাকা/রায়হান/ইভা