ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

চলচ্চিত্র প্রযোজনা এবং অনন্ত জলিল  

মুম রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৫, ১৮ জুলাই ২০২২   আপডেট: ১৬:৪৭, ১৮ জুলাই ২০২২
চলচ্চিত্র প্রযোজনা এবং অনন্ত জলিল  

‘আমি নিজেকে খুব ভালো চিনি আর আমি এটাও জানি আমি কিসে ভালো, কিন্তু আমি এটাও স্বীকার করি যে অন্যদের হয়তো আমার চেয়ে ভালো গুণ আছে এবং তাই আমি সেটাকে ক্ষমতায়ন করি।’

এ রকম কথা বলেছিলেন ক্যাথালিন কেনেডি। তাকে চেনা হয়তো সবার পক্ষে সহজ নয়, কারণ তিনি আড়ালে থাকেন। আড়ালে থেকে পুরো একটা  ইন্ডাস্ট্রির ক্ষমতায়ন করেন। ক্যাথালিন কেনেডি হলিউডের অন্যতম চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি লুকাস ফিল্মের প্রেসিডেন্ট। ১৯৮১ সালে তিনি স্বামী ফ্রাঙ্ক মার্শাল আর হলিউডের আরেক বিরাট চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক স্টিভেন স্পিলবার্গের সঙ্গে যৌথভাবে এম্বলিন এন্টারটেনমেন প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম সিনেমা ‘ই.টি. দ্য এক্সট্রা-টেরেস্টিয়াল’ (১৯৮২) আমরা ছোটবেলায় দেখেছি। পরবর্তীকালে ক্যাথালিন ‘স্টার ওয়ার্স’, ‘জুরাসিক পার্ক’, ‘ইণ্ডিয়ানা জোনস’-এর মতো বিশ্বখ্যাত সিনেমার প্রযোজকদের একজন হিসেবে হলিউডের অন্যতম চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। প্রায় ৬০টি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করে ১১শ কোটি ডলার উপার্জ করেছেন, বিশ্বের সেরা ব্যবসাসফল ছবির তালিকায় তার অন্তত পাঁচটি ছবি ঠাঁই পেয়ে থাকে। 

ক্যাথালিন কেনেডি সেই সব দুর্লভ প্রযোজকদের একজন যে ‘একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স’ ওরফে অস্কারে ‘আরর্ভিং জে থালবার্গ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অস্কার কমিটি এই ‘আরভিং জি থালবার্গ’ পুরস্কারটি নিয়মিত দেয় না। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দেয়; তাদেরকেই দেয় যারা ‘সৃষ্টিশীল প্রযোজক’, যার কাজসমূহ অবিরতভাবে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় উচ্চ মান ধরে রাখে।

উল্লেখ্য, হলিউডের এক সময়ের সেরা প্রযোজনা সংস্থা ‘ম্যাট্রো-গোল্ডেন-মায়ার’-এর প্রযোজনা বিভাগের প্রধান আরভিং থেলবার্গ’-এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই সম্মানজনক অস্কার পুরস্কার দেওয়া হয়। অস্কার পুরস্কার ১৯২৯ সালে শুরু হলেও এ পুরস্কারের সূচনা হয় ১৯৩৭ সালে। এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৯ জন এ পুরস্কার পেয়েছেন। 

লেখাটা শুরু করেছিলাম আমাদের কালের অন্যতম একজন সেরা চলচ্চিত্র প্রযোজককে নিয়ে। শেষ করবো ধ্রুপদীকালের অনন্য চলচ্চিত্র পরিচালক ডেরিল ফ্রান্সিস জানুক (১৯০২-১৯৭৯)-কে দিয়ে। নির্বাকযুগে তিনি চলচ্চিত্র বানানো শুরু করেন, কিন্তু তিনি না-থাকলে হয়তো চলচ্চিত্র সবাক হয়ে উঠতো না। ১৯২৭ সালে পৃথিবীর প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘দ্য জ্যাজ সিঙ্গার’ প্রযোজনার মাধ্যমে ডেরিল বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ঠাঁই করে নেন। সে ছবির জন্য তিনি বিশেষ অস্কার পুরস্কারও পান। ‘দ্য গ্রাপস্ অব রেথ’, ‘হাউ গ্রিন ওয়াজ মাই ভ্যালি’, ‘ জেন্টেলম্যানস্ এগ্রিম্যান্ট’, ‘এল এবাউট মাই ইভ’, ‘দ্য কিং অ্যান্ড আই’ এবং ‘দ্য লঙ্গেস্ট ডে’-এর মতো সব চলচ্চিত্রের প্রযোজক ছিলেন তিনি। বলা হয়ে থাকে যে, হলিউড ইন্ডাস্ট্রি তথা স্টুডিও কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র নির্মাণ তার হাতেই যথার্থ সাফল্য পেয়েছে। 

এটা দুঃখের কথা, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এমন প্রযোজক আসেনি আজও। আমাদের চলচ্চিত্রে প্রযোজকের কথা এলেই আমার মনে পড়ে হাবিবুর রহমান খানের কথা। ১৯৭২ সালে তিনি ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রযোজনা শুরু করেন। পরবর্তীকালে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’, ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ কিংবা ‘মনের মানুষ’-এর মতো চলচ্চিত্রসমূহে তিনি প্রযোজক হিসেবে যুক্ত থাকেন। একই সঙ্গে শিল্পিত এবং বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের উন্মেষ, বিকাশ ঘটেছে তার হাত ধরে। কিন্তু কেমন করে আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি আমাদের ঢালিউড মুখ থুবড়ে পড়লো সে ইতিহাস খুবই বেদনাদায়ক। 

এমনও হয়েছে- এ দেশে অনেকে কালো টাকা সাদা করতে চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করেছেন। এ ঘটনা বলিউডেও ঘটেছে। কিন্তু বলিউড চলচ্চিত্র প্রযোজকের সংকট কাটিয়ে উঠেছে। বলা দরকার, একজন যোগ্য পরিচালককে প্রথমতই হতে হবে স্বদেশ ও বিদেশের চলচ্চিত্র বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তিনি একটি দেশ ও জাতির চলচ্চিত্রের সাংস্কৃতিক সম্ভাবনা, দর্শকের মনস্তত্ব এবং চলচ্চিত্র বিপণনে অভিজ্ঞ হবেন। নিঃসন্দেহে চলচ্চিত্র একটি ব্যবসা। তবে তা আলু, পটলের গুদামের ব্যবসা নয়। এটি একটি শৈল্পিক বাণিজ্য সাধনা। একটা সময় প্রযোজকদের মানসিকতা এবং শিল্প ও রুচিবোধের অভাবই আমাদের চলচ্চিত্র ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই যে শত শত সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে, চলচ্চিত্র উৎপাদন, বিপণন ও পরিবেশনের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে তার জন্য কিছু অসাধু চলচ্চিত্র প্রযোজক দায়ী। চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘কাটপিস’ নামের অশ্লীল দৃশ্য সংযোজন করেও দর্শক ধরে রাখা যায়নি। ময়ূরি, মেহেদির মতো কথিত নায়ক-নায়িকাদের বিশ্রি ঝলকানি দিয়েও ঠেকানো যায়নি মূল ধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের পতন। একটা সময় অবশ্য টিভি অনুষ্ঠান নির্মাতা এবং টিভি চ্যানেলগুলোও চলচ্চিত্রে লগ্নি করেছে। তাতে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় অসাধু লোকেদের আনাগোনা কমেছে। কিন্তু চরিত্রগত দিক দিয়ে বড় পর্দা আর ছোট বাক্স এক নয়। ফলে টেলিভিশন সংশ্লিষ্টদের চলচ্চিত্র বাণিজ্যও ড্রইংরুম আর উচ্চবিত্ত বা উচ্চমধ্যবিত্তদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। একজন দিনমজুর কিংবা নিম্ন আয়ের কোনো ব্যক্তির পক্ষে সাহসেই কুলোবে না ঢাকার কিংবা বড় শহরের সিনেপ্লেক্সে গিয়ে ছবি দেখার। এসব সিনেপ্লেক্স যথেষ্ট ঝলমলে এবং ব্যয়বহুল। নিজেদের আভিজাত্য এবং ঠাটবাট টিকিয়ে রাখতে গিয়ে তাদের টিকেটের দাম বেশি, সেই সঙ্গে একটা পানীয় বা পপকর্নও উঁচু দরে কিনতে হয়। মোদ্দাকথা, একটা সময় যে শ্রমিক আর মজুর শ্রেণী সারা সপ্তাহের বা মাসের বিনোদন নিতে সিনেমা দেখতো তা আজ বিলুপ্তপ্রায়। তাদের কথা মাথায় রেখে এখন আর চলচ্চিত্র নির্মিত হয় না।

টিভি ইন্ডাস্ট্রির চলচ্চিত্রগুলো মূলত আর্ট হাউজ ঘরাণার কিংবা বেডরুম, ড্রইরুম কেন্দ্রিক গল্পতেই সীমাবদ্ধ। এর ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। কিন্তু পুরো ঘরাণাটি গড়ে উঠেছে উচ্চবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত কিংবা নেহাতই মধ্যবিত্ত দর্শককে মাথায় রেখে। ফিলিপ কটলার তার বিশ্বখ্যাত বই ‘কটলার অন মার্কেটিং’-এ উল্লেখ করেছেন, বাজারে যে কোনো একটা পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের সময় সবার আগে মাথায় রাখতে হয় এর টার্গেট ভোক্তা কারা। আমাদের চলচ্চিত্র তথা শিল্পকলা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিম্নবিত্ত বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবর্জিত বিপুল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে না। এক সময় ‘বেদের মেয়ের জোছনা’র বিরাট বাণিজ্যিক সাফল্য প্রমাণ করেছিল এ শ্রেণীর দর্শক তাদের মনের মতো ছবি পেলে লুফে নেয়। ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষকে ভীষণভাবে টেনে ছিল। এই বৃত্তের জনগোষ্ঠীর জন্য আজকে সিনেমা হলে কোনো আশার আলো নেই।

সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে, সাম্প্রতিককালে অনন্ত জলিল ব্যতিক্রম। তার ‘দিন- দ্য ডে’ নামের সিনেমা একই সঙ্গে শহরের চকচকে সিনেপ্লেক্সে যেমন মুক্তি পেয়েছে তেমনি মফস্বলের ভগ্নপ্রায় সিনেমা হলেও মুক্তি পেয়েছে এবং সবখানেই দর্শক এসেছে। এটা সত্যি কথা যে, অনন্ত জলিলের সিনেমা শিল্পমান-সম্পন্ন নয়, কিন্তু সিনেমার যে বিনোদনগত দিক তা তার ছবিতে আছে। অত্যন্ত ব্যয়বহুল, মনোরম লোকেশন আর আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার তার ছবিতে একটা ঝকঝকে, ঝলমলে আবহ তৈরি করে। কিন্তু দুঃখের কথা হলো, অনন্ত জলির তার সব ছবিতেই নিজে অভিনয় করেন এবং তার স্ত্রী বর্ষাকেই নায়িকা নির্বাচন করেন। 

দুঃখটা এখানেই যে তারা দুজনই অভিনেতা হিসেবে নূন্যতম মান রক্ষা করতে পারেন না। এটা আমার নিজের চোখে দেখা যে, সিনেমায় অনন্ত জলিল বা বর্ষা কষ্ট পেলে, কাঁদলেও দর্শক হাসতে থাকে। অর্থাৎ আজকের এই সোস্যাল মিডিয়ার ট্রল যুগে এসে দর্শক তাদের মজার উপাদান হিসেবেই দেখেন। যেভাবে মাহফুজুর রহমানের গান নিয়ে ইয়ার্কি, ফাজলামো হয় এবং এক ধরনের নিরর্থক জনপ্রিয়তার কাতারে তিনি পড়ে যান, অনন্ত জলিলও সেদিকেই পড়েন। 

মাহফুজুর রহমানের নিজের টিভি চ্যানেল আছে, অনন্ত জলিলের নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের সামর্থ আছে যা খুশি তাই করার। নিজেকে বা নিজের স্বজনকে বিখ্যাত করার জন্য কেউ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতেই পারেন। কেউ নিজের আয় করা অর্থ সেভাবে ব্যবহার করলে আামদের আপত্তির কারণ নেই। কে কার টাকায় মদ খাবে আর কে দুধ খাবে সেইটুকু স্বাধীনতা তো থাকতেই হবে। কিন্তু সিনেমার ভোক্তা হিসেবে মনে আফসোস জাগে, প্রায় শত কোটি ব্যয়ে যে সিনেমা নির্মিত হয়, লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে যে গান নির্মিত হয়, তা রুচির পিপাসা মেটায় না। আমার ভাবতে ভালো লাগে, একজন অনন্ত জলিল, মাহফুজুর রহমান চলচ্চিত্র প্রযোজক হয়ে উঠছেন। তারা ক্যাথালিন কেনেডির মতো নিজেকে চিনতে পারবেন এবং তাদের চেয়েও যোগ্য লোকেদের মূল্যায়ন করতে পারবেন। 

একটা প্রস্তাবনা হিসেবেই ভেবে দেখুন প্রিয় পাঠক। ধরুন অনন্ত জলিল ১০০ কোটি টাকা বাংলাদেশের সিনেমায় ব্যয় করলেন। তিনি একজন প্রযোজক হিসেবে ১০০ পরিচালককে ১ কোটি টাকা করে ১০০ কোটি টাকা দিলেন। এই দেওয়াটা কিন্তু ঋণ বা অনুদান নয়, লগ্নি করা, প্রযোজক হিসেবে পূঁজি খাটানো। তাহলে ভাবুন তো পাঠক, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যেতে পারে। আমি তো বিশ্বাস করি, কোটি টাকা ব্যয় করে ১০০ সিনেমা বানালে তার মধ্যে থেকে অন্তত দুচারটা বিশ্ব মানের সিনেমা তৈরি হতেই পারে। এ দেশে এখন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্র পাঠদান করানো হয়। সেখান থেকে পাশ করা শিক্ষিত চলচ্চিত্র পরিচালকরা আছেন, আছে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র থেকে পাশ করা এক বিশাল তরুণ শ্রেণী। যাদের অনেকেই পরিচালনা, অভিনয়, ডিজাইন (পোশাক, আলোক, শিল্পনির্দেশনা), ক্যামেরা চালানো, সম্পাদনাতেও দক্ষ। এ সব তরুণদের পাশাপাশি আরো বহু সৃজনশীল পরিচালক অর্থের অভাবে, অনুদানের অভাবে চলচ্চিত্র বানাতে পারছেন না। একজন অনন্ত জলিল কিংবা মাহফুজুর রহমান যদি নিজের পেছনে অর্থটা ব্যয় না করে ইন্ডাস্ট্রির পেছনে ব্যয় করেন তবে হয়তো এ দেশের চলচ্চিত্র-টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে বড় বদল আসতে পারে। 

অনন্ত জলিল, মাহফুজুর রহমানগণ ইতোমধ্যেই বিখ্যাত, তাদের জনমানুষ চেনেন। এবার এমন তো হতে পারে তারা ইতিহাসের অংশ হতে পারেন। একজন অনন্ত জলিল একাই যদি ১০০টি সিনেমায় পূঁজি খাটান, শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তিনি ঠাঁই নিতে পারবেন। আর এমন ইতিহাসে ঠাঁই নেওয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি তাদের আছে। এখন যদি একটু শৈল্পিক ইচ্ছাটাকে জাগ্রত করা যায় হয়তো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রযোজনায় নতুন জোয়ার আসবে। সেই ১৯৭২ সালে খান আতাউর রহমানের হাত ধরে এ দেশে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমাদের চলচ্চিত্র প্রযোজনার শুরুটা যথেষ্ট গৌরবময়। এ দেশের সেরা ছবিগুলো সত্তর আর আশির দশকেই হয়েছে। তারপর সেই কালো টাকা, নোংরা ছবির প্রযোজনা, নারী দেহ প্রদর্শন, কাটপিস এসবের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। যে করেই হোক টিভি ইন্ড্রাস্ট্রি অনেকটাই হাল ধরেছে এ দেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতিকে তুলে ধরার। কিন্তু তাদের বাজেট অনেক কম। দশ-পনের লাখ টাকা থেকে ত্রিশ-চল্লিশ লাখ টাকাতেও সিনেমা হয়েছে। কিন্তু অনন্ত জলিলের মতো ধনবান এবং চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষ যদি এগিয়ে আসেন তাহলে পূঁজির সংকট কেটে যাবে। আমরা তো আশা করতেই পারি।      আর আমরা অপেক্ষায় থাকতে পারি, আমাদের দেশের চলচ্চিত্র প্রযোজনাতেও অতি শীঘ্রই আরভিং জে থালবার্গ, ডেলি ফ্রান্সিস জানুক কিংবা ক্যাথালিন কেনেডির মতো একজন প্রযোজক আসবেন, যার শৈল্পিক ও ব্যবসায়িক দক্ষতায় এ দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে নতুন মোড় আসবে।    

লেখক: শিল্প সমালোচক, চলচ্চিত্র বোদ্ধা
 

/তারা/ 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়