ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বাকশাল: ডা. জাফরুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৩, ২৩ অক্টোবর ২০২০  
ভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বাকশাল: ডা. জাফরুল্লাহ

সরকার ভিন্ন নামে দেশে ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠা করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কালো আইন বাতিল ও নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি’তে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, ‘এই সরকারের সব কর্মকাণ্ড গণতন্ত্রবিরোধী। আমাদের সংবিধানে আমার কথা বলার অধিকার আছে, আমার সংগঠন করার অধিকার আছে, আমার বক্তব্য দেওয়ার অধিকার আছে জনগণের কাছে। সেটা আমাকে করতে দেওয়া হচ্ছে না।’

‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দাবি বাতিল পরিষদ’র উদ্যোগে মানববন্ধনে সংগঠনের আহ্বায়ক সৈয়দ হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
   
তিনি বলেন, ‘দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। আজকে ভিন্ন নামে বাকশাল দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। এটা চলতে পারে না।”

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আজকে জনগণকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এ জাতীয় বাধা দেওয়ার কারণে কী হয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতগুলো কাজ আপনি করছেন ক্রমেই তা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। জনগণকে প্রকৃত মানবিক এবং সুষ্ঠু গণতন্ত্র দিতে হবে। সবাইকে কথা বলার অধিকার দিতে হবে। সুষ্ঠু ও মানবিক গণতন্ত্র ছাড়া আমাদের মুক্তির কোনো পথ নেই।’

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদ ও সদ্য গ্রেপ্তার ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর প্রসঙ্গ টেনে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘শুধুমাত্র কথা বলার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবুল আসাদকে একবছর ধরে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। অথচ যারা যারা লাখ-কোটি টাকা পাচার করেছে/ তাদের জামিন আগেই হয়ে যায়। এটা কি গণতন্ত্র হতে পারে?’

প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের অন্ধ নুরুল হুদা সাহেব আর কতদিন ক্ষমতায় রাখবেন জানি না। এই ভদ্রলোক নির্বিবাদে কীভাবে এত মিথ্যা কথা বলেন জানি না। খোদা ওনাকে দোজখে নিয়েও হয়তো খুশি হবেন না। পরিবর্তনের জন্য জনগণেরও একটা দায়িত্ব আছে। বিরোধী দলগুলোর ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করারও কোনো উপায় নেই। আমরা একত্রে বের করতে পারছি না। কেন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেওয়া হবে না। কেন আমার ভোট আমি দিতে পারি না। ’

বিচারকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হলে জজ সাহেবদের বিবেকবান হতে হবে। জজ সাহেবরা এত ভীত যে এখনো লুকিয়ে থাকেন। ভার্চুয়াল কোর্ট করে বেড়ান। রাস্তায় আমরা বের হচ্ছি না, গাড়ি-ঘোড়া চলছে না? কার বুদ্ধিতে এসব করা হচ্ছে জানি না। তবে আমাদের সামনে সমূহ বিপদ। আমার শেষ আবেদন আমাদের সবাইকে রাস্তায় থাকতে হবে। সবাইকে গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভাসানী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মমতাজ চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, এনডিপির মহাসচিব সৈয়দ মনজুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক এফএম এম ফয়েজ হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোট ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, গ্রীন পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সম্পাদক ডা. শামসুল আলম প্রমুখ।

ঢাকা/সাওন/জেডআর

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়