শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: কাদের

নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশে বিরাজমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিনষ্টের যেকোনো অপপ্রয়াস আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।’

বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে বিএনপিকে আন্দোলন করতে হবে। যেকোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়। কিন্তু সমাবেশের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সাথে নিয়ে শক্ত হাতে তা দমন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশ ও জাতির কল্যাণ ভুলে নানা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের পথকেই রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে। তারা একদিকে অপপ্রচারে বিনিয়োগ করেছে, অপরদিকে ধোয়া তুলসি পাতা সেজে ব্যাখ্যা দাবি করছে।’

বিএনপি কোটি টাকা ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে বলে অভিযোগ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বিএনপিকে অপরাজনীতি পরিহার করে জনগণের জন্য রাজনীতি করারও আহ্বান জানান।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তাই ষড়যন্ত্রের পথ ত্যাগ করে জনকল্যাণের রাজনীতি করুন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মনে করেন, আল জাজিরার মিথ্যা অপপ্রচারে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। জনগণ অপপ্রচারের বিপরীতে শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির সুফল ভোগ করছে।

অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারের স্পষ্ট ও কঠোর অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি তার সহযোগীদের নিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে এখন আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করছে বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘অপকর্মকারী কেউ শেখ হাসিনার মানুষ হতে পারে না। তার কাছে কারো প্রশ্রয় নেই।’

এ দেশের রাজনীতিতে গত ৫০ বছরে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সততার প্রতীক, দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজেকে কোনো সিন্ডিকেটের কাজে জিম্মি করেননি।’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কমিটিকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সমাবেশ ও জনসংযোগ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ বিষয়ে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা স্ব স্ব বিভাগের কর্মসূচি সমন্বয় করবেন।