ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে: কাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৫, ২৯ মে ২০২৩  
বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এতে দলটি গভীর হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।

সোমবার (২৯ মে) গণমাধ্যমের দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নীলনকশা অনুযায়ী বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে বিএনপি এখন গভীর হতাশায় নিমজ্জিত। তাই বিএনপি আন্দোলনের পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ‘বিএনপি নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক বিবেচিত হবে না’ গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শপরিপন্থী এমন অপপ্রচার মুখ থুবড়ে পড়েছে।

‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে। একই সাথে নির্বাচন বানচালে বিএনপির আগুন সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশি প্রভুদেরকে তুষ্ট করার জন্য বিএনপি মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাদের সেই ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তারা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির আলোকে সরকার ও আওয়ামী লীগের  বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে নতুন নতুন নাটক সাজিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।

‘কোথাও নিজেরাই মারামারি করে আহত হয়ে তার দোষ চাপাচ্ছে সরকারের উপর। কোথাও সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উস্কানি দিচ্ছে। আবার কোথাও পুলিশের ওপর নিজেরাই বিনা উস্কানিতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার দায় সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যাচার ও অর্বাচীন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।

দেশবাসী ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের বিএনপি-জামায়াতের ভয়াল দুঃশাসনের কথা ভুলে যায়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়েও যেতে পারেনি। আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজ উদ্দিনসহ ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীও সন্ত্রাসী হামলা থেকে রেহাই পায়নি। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে ৮ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত বিএনপি ক্যাডারদের হাতে সম্ভ্রম হারিয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত ধারাবাহিক উন্নয়ন-অগ্রগতি ও প্রশংসনীয় সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় অনন্য মর্যাদার আসনে অভিষিক্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি যত দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দেবে ততই তারা গণশত্রুতে পরিণত হবে। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নেতারা যতই চেষ্টা করুক না কেন, এদেশের মানুষ তাদের অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবে না।

/পারভেজ/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়