ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আ.লীগের মহানগর দক্ষিণের সভায় মারামারি-হট্টগোল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০১, ৮ জুন ২০২৩  
আ.লীগের মহানগর দক্ষিণের সভায় মারামারি-হট্টগোল

ঐতিহাসিক ছয় দফা উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসে নিজেদের মধ্যে মারামারি, হট্টগোল, লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়ালেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই ঘটলো এমন ঘটনা। আর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ.লীগের বিশৃঙ্খলা আয়োজনের আরেকটি উদাহরণ দেখালো আয়োজকরা।

ঘটনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। ঐতিহাসিক ৬ দফা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চরম অব্যবস্থাপনা আর ব্যর্থতায় শেষ হয় সভা।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আলোচনা সভা চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আসছিলেন নেতাকর্মীরা। হঠাৎ সমাবেশস্থলের ভেতর থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলামের সমর্থকরা ও কেরানীগঞ্জের শাহীন চেয়ারম্যানের সমর্থকরা মারামারিতে জড়ান। দুই পক্ষই একে অপরের সঙ্গে দিকে চেয়ার ছুড়ে মারেন। ব্যানার খুলে তাতে ব্যবহৃত বাঁশ আর লাঠি নিয়ে একে অপরকে আঘাত করেন। এ নিয়ে সভায় আসা নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা এদিক-সেদিক দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। অনেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে গিয়ে আশ্রয় নেন।  

এসময় অনুষ্ঠান কাভার করতে সাংবাদিকদের বসার জন্য চেয়ার টেবিল দখলে চলে যায়। অনেকে চেয়ার-টেবিলের ওপরে উঠে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরিস্থিতি দেখে গণমাধ্যকর্মীরাও নিরাপদ দূরে সরে আসেন। এরই মধ্যে কয়েক দফা চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

পুরো ঘটনা ঘটে সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে। এসময় মঞ্চে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

সংগঠনের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী বার বার মাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানালেও কার্যত তার কথা কেউ শোনেননি। এসময় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় দেখে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হলেও পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে চলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির শোডাউন। ব্যানার নিয়ে মঞ্চের একেবারে কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় শত শত নেতাকর্মীদের। এ নিয়ে দায়িত্বশীলরা ছিলেন একেবারে নির্বিকার। 

অনুষ্ঠান কাভার করতে গণমাধ্যমকর্মীদের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে সম্প্রচার গণমাধ্যমকর্মীরা নেতাদের বক্তব্য নিতে নেতাকর্মীদের সাথে রীতিমতো যুদ্ধ করেন। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যারা অনুষ্ঠানের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ব্যর্থতা আবারও একবার সামনে এলো।

পারভেজ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়