তামাশার নির্বাচন মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে: গণতন্ত্র মঞ্চ
নির্বাচন ও পরিকল্পিত সহিংসতার প্রতিবাদে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে মিছিল-মিটিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। জনগণ এই অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক নিষেধাজ্ঞা মানে না। তামাশার ডামি নির্বাচন মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, সরকার সেটা পরিষ্কার বুঝতে পেরেছে।
‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে এবং একদফা দাবিতে’ যুগপৎ আন্দোলনের ধারায় আহুত হরতালের সমর্থনে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। নেতারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জনগণকে রাস্তায় নেমে এসে রাজপথ দখলে নেওয়ার আহ্বান জানান।
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন। সভা পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, মিছিল-মিটিংয়ের অধিকার হরণ করে প্রহসনের নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। তামাশার তফসিল স্থগিত এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্যোগ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
তারা বলেন, সরকারের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সত্য উচ্চারণ, অর্থাৎ জাতীয় পার্টির মতো ভিক্ষার সিট নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে বিএনপিসহ আন্দোলনরত ২০ হাজার নেতাকর্মীদের মুক্ত করে দেওয়া হতো। তার এ কথাই প্রমাণ করে, দেশের আইন-আদালত সব তাদের নির্দেশেই চলে। শাজাহান ওমর ভিক্ষার সিট নিয়ে হ্যাডম দেখায়, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা একই ধরনের মামলায় গ্রেপ্তার হলেও তাদের জামিন হয় না।
নেতৃবৃন্দ আজ সকালে তেজগাঁওয়ে চলমান ট্রেনে আগুন দিয়ে নাশকতা এবং এর ফলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে অনেক সাধারণ যাত্রীর হতাহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, সরকার নাশকতার দায় বিরোধীদলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ ধরনের নাশকতার সাথে চলমান আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নাই। আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এসব নাশকতা ঘটিয়ে বিরোধীদলের ওপর চাপানো হচ্ছে; যেমনটা করা হয়েছিল ২৮ অক্টোবরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে। তামাশার নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনগণের চলমান আন্দোলন ক্র্যাকডাউন করার জন্য এ ষড়যন্ত্র চলছে।
এর আগে, রাজধানীর তোপখানা রোড মেহেরবা প্লাজার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তাদের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি বিজয়নগর, কালভার্ট রোড, পুরানা পল্টন হয়ে প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
নঈমুদ্দীন/এনএইচ
আরো পড়ুন
