রাজনীতিবিদদের ব্যর্থ প্রমাণ করতে কিছু লোক তৎপরতা চালাচ্ছে : কাদের
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ ও ব্যর্থ প্রমাণ করতে কিছু লোক তৎপরতা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভার মঞ্চ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
৭৫ বছরে দিনে দিনে আওয়ামী লীগ অজনপ্রিয় দলে পরিণত হচ্ছে বলেই বর্তমান সংসদের প্রায় ৭৮ ভাগ ব্যবসায়ী- এ প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, রাজনীতি করলে কী ব্যবসা করার অধিকার থাকবে না? চাঁদা তুলে ভাত খাবে? চাঁদা তুলে পরিবার চালাবে? ব্যবসা করলে তো আপত্তি নেই৷ সৎ ব্যবসা করলে আপত্তি নেই। অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। একটা কথা বলতে চাই, সুপরিকল্পিতভাবে ওয়ান ইলিভেনে যেটা দেখেছি দেশের রাজনীতিবিদদের নিন্দিত করা, কুৎসা রটানো৷ এ দেশ স্বাধীন করেছে দেশের উন্নয়ন করছে রাজনীতিবিদেরা। সেই রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে ও তাদের ব্যর্থ এটা প্রমাণ করতে কিছু লোক তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা সেটা বুঝি, এর বিরুদ্ধে প্রস্তুতও আছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকল আয়োজন সম্পন্ন। আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা আনন্দঘন, উৎসবমুখর হয়েছে। আগামীকাল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও স্বতঃস্ফুর্ত, সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন উপস্থিতি হবে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
বাঙালির সব বড় দুই অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরে উল্লেখ করে কাদের বলেন, নির্দ্বিধায় বলতে পারি বাঙালির জীবনে দুটি সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন - জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন এ দেশের স্বাধীনতা। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জন এ দেশের উন্নয়ন। ।
৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের কি অপ্রাপ্তি আছে এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপ্রাপ্তির বিষয় সেভাবে দেখছি না৷ প্রাপ্তির খাতায় হিসাব করে এগিয়ে যাচ্ছি৷ বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাপ্তিটা রাজনৈতিক। আমাদের অসমাপ্ত কাজ বিজয়কে সুসংহত করতে পারিনি৷ সাম্প্রদায়িকতা বিজয়কে সুসংহত করার পথে অন্তরায় হয়ে আছে।
প্রতিষ্ঠাবির্ষিকীর অনুষ্ঠানে জাতির জন্য কি বার্তা থাকছে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের বার্তা নতুন কিছু না৷ আমরা আমাদের পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছি, সেই ইশতেহার বাস্তবায়ন। আমরা একদিক থেকে বলতে পারি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি, এটা আমাদের অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান, যেমন আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো, এমআরটি লাইন ১ ও ৫, মাতারবাড়ি, পায়রা, রূপপুর এই কাজগুলো সুসম্পন্ন করতে হবে। এটাই দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি ও থাকব।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, এস এম কামাল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পারভেজ/টিপু