‘সমকামীদের প্রমোট করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত জনগণ রুখে দেবে’
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খুলে ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে সমকামিতা প্রমোট করার মত জঘন্য ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিলে দেশের জনগণ রুখে দেবে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— দলের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ হারুন অর রশিদ, মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আব্দুল আউয়াল মজুমদার।
দলটির মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করবে। কোন স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের কাজ নয়। ১০ বছর চেষ্টা চালিয়ে শ্রীলঙ্কায় মানবাধিকারের কান্ট্রি অফিস খুলতে তারা ব্যর্থ হয়। ৩৬ জুলাই-এর অভ্যুত্থানের পর নানা দেশি-বিদেশি চক্রান্ত সক্রিয়। বাংলাদেশে জাতিগত কোন সংঘাত হয়নি যে, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খুলতে হবে। তাছাড়া ঐ অফিসের বিরুদ্ধে দেশে দেশে সমকামিতার প্রমোট করার অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষ বিগত ১৬ বছরে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, তারা নিজেদের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি। বিশেষ করে নতুন ভোটার ৬ কোটি মুখিয়ে আছে ভোট দেওয়ার জন্য। পিআর সিস্টেম নির্বাচনের মাধ্যমেই জনমতের শতভাগ প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনি যাত্রা শুরু করেছে বলে আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠনে স্টেকহোল্ডার তথা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্বসহ আমলে নিতে হবে। সীমানা নির্ধারণ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। কালোটাকা ও পেশীশক্তিবিহীন নির্বাচনের জন্য আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে।
নঈমুদ্দীন/এনএইচ
