মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা ১০ গুণ
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আসছেন তারেক রহমান: এজেডএম জাহিদ হোসেন
বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কথা বলছেন জাহিদ হোসেন
দলের নেতৃত্ব দিতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসছেন জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘‘জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শুধু বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, সকল মানুষের নেতা জনাব তারেক রহমান।’’
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘‘আমি কয়েকদিন আগেও বলেছি, আপনারা দেখতে পাবেন যে, কয়েক সপ্তাহ বলেছিলাম। ইনশাল্লাহ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারেক রহমান এসে বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুধু নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শেষ লগ্ন যেটি, তার নেতৃত্ব দেবেন।’’
মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা আসনের বিপরীতে ১০ গুণ বেশি
এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা সারাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে তারেক রহমানের আহ্বানে ভোটারদের কাছে, জনগণের কাছে ৩১ দফার কর্মসূচি নিয়ে যাচ্ছে, সেই কাজে তারা ব্যস্ত আছে এবং কর্মচাঞ্চল্য চলছে। নির্বাচন সামনে রেখে ১৮ মাস আগে থেকে আমাদের এই কাজ শুরু হয়েছে। আপনারা যেটাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বলেন, অর্থাৎ মনোনয়ন… আলহামদুলিল্লাহ! বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা যা সিট আছে তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি।’’
“কাজেই কে প্রার্থী হবেন কে হবেন না সেজন্য… আমাদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জেলার নেতৃবৃন্দ, আমাদের দলের পক্ষ থেকে জরিপ এবং সর্বোপরি জনগণের ভালোবাসায় যে সমস্ত মানুষগুলো নিজ নিজ এলাকায় জনপ্রিয়, তাদেরকেই বিএনপি মনোনয়ন দেবে। আপনি দেখতে পাবেন, খুব সহসাই মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। কিন্তু ইদানিংকালে সোশাল মিডিয়া ও কিছু পত্রপত্রিকায় যে সমস্ত স্পেকুলেটেড নিউজ হয়েছে, তার ব্যাপারে আমাদের দলের পক্ষ থেকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাহেব বলেছেন, দল এখনো কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। যখন সময় আসবে, তখন জানানো হবে,’’ যোগ করেন জাহিদ হোসেন।
জামায়াতকে ইঙ্গিত করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘‘আমি সবসময় বলতাম স্বৈরাচারের দোসর কারা ছিল? ৮৬ সালে দেখেছেন, এখনো দেখছেন। কাজেই আপনাদের সজাগ থাকতে বলব, সংবাদকর্মীদের, দেশের মানুষকে… দেশের মানুষ দেখছে যে, সত্যিকার অর্থে স্বৈরাচারের সঙ্গে কার সম্পৃক্ততা রয়েছে।’’
“কাজেই এ ব্যাপারে আমাদের আর স্পষ্ট করে বলার দরকার নাই। বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে সোচ্চার ছিল, থাকবে,’’ বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচনা করে বিএনপির এই শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বলেন, ‘‘এই দলের ইতিহাস, এই দলের নেতাদের ইতিহাস কোনো দিনই জনগণের পক্ষে ছিল না। উনারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, উনারা জনগণের ওপরে চেপে বসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। তারা এই দেশটাকে মনে করে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। অন্যায় উনাদের পূর্বপুরুষরা করেছেন, উনারাও করছেন।’’
আওয়ামী লীগকে কীভাবে প্রতিহত করতে হয়, প্রত্যাখান করতে হয় সেটা শেষ বিচারে জনগণ জানে বলেও মন্তব্য করেন দলটির স্থায়ী কমিটির এই স্থায়ী সদস্য।
এর আগে তিনি বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষে ডিপ্লোমা ফার্সাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডি-ফ্যাব) নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেখান থেকে ডি-ফ্যাবের আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ মিয়া ও সদস্য সচিব নাজমুল হুদা, উপদেষ্টা আতিকুর রহমান রুমনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি জিয়ার সমাধি থেকে বিজয় সরণি সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন