ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ভোলায় ক্যাপসিকাম চাষে সফল কৃষকরা

ভোলা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ১০ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৮:১৮, ১০ মার্চ ২০২৪
ভোলায় ক্যাপসিকাম চাষে সফল কৃষকরা

ক্যাপসিকাম চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চর এলাকার কৃষকরা। কয়েক বছর আগে এ চরেই প্রথম ক্যাপসিকাম চাষ হয়। পরীক্ষামূলকভাবে ভালো ফলন ও চাহিদা বেশি থাকায় অন্যান্য কৃষকরাও ঝুঁকে পড়েন ক্যাপসিক্যাম চাষে। সেই থেকে বাড়তে থকে চরে ক্যাপসিকাম চাষের পরিধি।

প্রতি বছরের মতো এ বছরেও বাম্পার ফলন হয়েছে ক্যাপসিকামের। ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় সন্তুষ্ট এখানকার কৃষকরা। এখানকার ক্যাপসিকাম মাঠ থেকে তুলতে না তুলতেই সরাসরি বরিশাল হয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার বাজারগুলোতে চলে যায়। বেশি লাভবান হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করার কথা ভাবছেন কৃষকরা।

মাঝের চরের কৃষক জামাল মিয়া জানান, আমি এ বছর দুই একর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছি। প্রতি একরে ১৪-১৫ টন করে প্রায় ৩০ টনের মত ক্যাপসিক্যাম ফলন হয়েছে। বাজারে চাহিদা ভালো থাকায় এখানে এসে পাইকাররা ক্যাপসিক্যাম নিয়ে যায়। দামও ভালো পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে ক্যাপসিকাম চাষ করে আমরা ভালোই আছি।

কথা হয় মাঝের চরের আরেক কৃষক মো. বাবুলের সঙ্গে। তিনি জানান, এ চরে এমন কোনো ফসল নেই, যার চাষ করা হয় না। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় ক্যাপসিকাম। এ এলাকার মাটি ক্যাপসিক্যাম চাষে খুব উপযোগী হওয়ায় ভালো ফলন মিলে। বিকিকিনিতেও স্বস্তি রয়েছে। দাম নিয়ে তেমন চিন্ত করতে হয় না। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম এবার ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নৌযানে করে এ সবজি পাঠানো হয়। রায়পুর-লক্ষীপুর হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যায় এখানকার ক্যাপসিকাম।

তিনি আরও জানান, এ চাষে রোগ বালাই বা পোকা মাকড়ের আক্রমণ তেমন নেই বললেই চলে। তাই ভোলার চাষীদের মধ্যে ক্যাপসিকাম চাষ আজকাল খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ভোলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এ জেলায় ৭৪ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকামের আবাদ হলেও এ বছর ৮০ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকাম আবাদ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি ১৪ মেট্রিক টন হিসেব জেলায় এ বছর মোট ১ হাজার ১২০ মেট্রিক টন ক্যাপসিকাম উৎপাদন হয়েছে।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. হাসান ওয়ারেসুল কবির জানান, ভোলা জেলা বিগত দিনগুলোতেও ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা রেখে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও ক্যাপসিকাম চাষে সফল এ জেলার কৃষকেরা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করে যাওয়া হচ্ছে। আগামীতে যদি পরিস্থিতি ও পরিবেশ অনুকূলে থাকে তাহলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ক্যাপসিকাম চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে।

/মলয়/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়