ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মানি লন্ডারিং : ফের আলোচনায় বাবর

এম এ রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪০, ৭ জুন ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মানি লন্ডারিং : ফের আলোচনায় বাবর

এম এ রহমান : প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ব্যাংক একাউন্টে ১০ লাখ মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা সাড়ে সাত কোটি টাকা। এ অভিযোগ পুরনো হলেও নতুন করে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

২০০৬ সালের শেষদিকে সিঙ্গাপুরে এইচএসবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে রাজধানীর গুলশানের প্রাইম ব্যাংকে প্রাক্তন এই প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হিসেবে ওই অর্থ জমা হয়। অথচ বাবর আজ পর্যন্ত এ অর্থের উৎস জানাতে পারেননি। তবে এবার মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় ওই অর্থের উৎসের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। এর আগে দুদকের একটি সূত্রের মাধ্যমে ওই অভিযোগের অনুসন্ধান করা হয়।

 

প্রাথমিক অনুসন্ধানে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ মেলায় এবার আনুষ্ঠানিকভাবে তা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে সম্প্রতি দুদকের উপপরিচালক মির্জা জাহিদুল আলমকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

 

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের এক কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সিঙ্গাপুর থেকে তার হিসাবে ১০ লাখ মার্কিন ডলার আসার অভিযোগ অনেক পুরনো। তবে মানি-লন্ডারিং আইনের আওতায় অর্থের উৎস ও ঠিক কী কারণে ওই অর্থ তার হিসাবে জমা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখতেই নতুন করে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।’

 

অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের শেষ দিকে গুলশানের প্রাইম ব্যাংকে বাবরের একাউন্টে সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় দুই দফায় ১০ লাখ মার্কিন ডলার জমা হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায়, যা প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এ টাকা কীভাবে আয় করেছেন, তার কোনো তথ্য বাবরের দেওয়া আয়কর রিটার্নে নেই। পূর্বে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতেও তা উল্লেখ করেননি তিনি। তাই  ক্ষমতায় থাকাকালে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোনো অনৈতিক সুবিধা দিতে কোনো কোম্পানির কিংবা ব্যক্তির কাছ থেকে ওই অর্থ তার হিসাবে জমা করিয়েছিলেন কি না-  তার জবাব  খুঁজতেই দুদক অনুসন্ধানে নেমেছে।

 

দুদক সূত্রে আরো জানা যায়, ওয়ান ইলেভেনের সময় অর্থ্যাৎ ২০০৮ সালে বাবরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা দায়ের করে দুদক। যেখানে সিঙ্গাপুর থেকে আসা ওই অর্থের বিষয়টি ছিল। যার হিসা্ব তৎকালীন সময়ে দিতে পারেননি  তিনি।

 

প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১১ জুলাই ৭ কোটি ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়-বর্হিভূত সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল দুদক।

 

২০১০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ৮ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার ১২২ টাকার সম্পদের ওপর প্রযোজ্য আয়কর ফাঁকির মামলা করে এনবিআর। উভয় মামলাই আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য একাধিক মামলা রয়েছে।

 

এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বাবরকে ১৭ বছর কারাদণ্ড এবং চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি তার ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত।

 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ২৮ মে যৌথবাহিনী বাবরকে আটক করে। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জুন ২০১৫/এম এ রহমান/লেনিন/সুমন মুস্তাফিজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়