ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আইপিএলে প্রতিনিধিত্ব করা দুই বাংলাদেশি

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৮:১১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
আইপিএলে প্রতিনিধিত্ব করা দুই বাংলাদেশি

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ত্রয়োদশ আসরে বাংলাদেশি কোনো ক্রিকেটার নেই। তবে লাল-সবুজের ঝাণ্ডা উড়াচ্ছেন দুই বাংলাদেশি। দুই সাপোর্টিং স্টাফ, আর কে সেন্টু ও খলিল খান কাজ করছেন আইপিএলে।

সেন্টু বল থ্রোয়ার। খলিল খান ম্যাসেজ ম্যান। বাংলাদেশের এ দুই সাপোর্টিং স্টাফ নিজেদের যোগ্যতায় জায়গা করে নিয়েছেন আইপিএলে। অফার ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করা বুলবুল আহমেদেরও। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য মুশফিক, তামিমদের ট্রেনিং চলায় বুলবুল অনাপত্তিপত্র পাননি।

সেন্টুকে ডেকেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। খলিল খান রয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসে। দুই বাংলাদেশি আইপিএলের শুরু থেকেই নিজ নিজ দলে কাজ করছেন। নিজেদের কাজ করার একাধিক স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তারা। তবে আনুষ্ঠানিক কথা বলার অনুমতি না থাকায় নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে রাজি হলেন না কেউ।
জাতীয় দলের কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। তিনিই এই বুলবুল ও সেন্টুর থ্রোয়িংয়ের ভিডিও সানরাইজার্স কর্মকর্তাদের কাছে পাঠান। এর পরপরই আইপিএলে সুযোগ হয়ে যায় তাদের। বুলবুল অনপত্তিপত্র না পেলেও সেন্টুর জন্য দুয়ার ছিল খোলা।

ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ আর কে সেন্টু নিদাহাস ট্রফিতে জাতীয় দলের সঙ্গে সফর করেছিলেন। এছাড়া দেশে একাধিক সিরিজেও সাপোর্টিং স্টাফ হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। রাজশাহীতে বাংলা ট্র্যাক একাডেমিতে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই একাডেমির হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। বিপিএল, ডিপিএলের সময় খালেদ মাহমুদের সঙ্গে কাজ করেন সেন্টু।

এদিকে ম্যাসেজ ম্যান খলিলকে পছন্দ করেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০১৬ এশিয়া কাপে ভারতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল খলিলের। তখন তার কাজ পছন্দ হয় ভারতের সাবেক অধিনায়কের। চেন্নাইয়ে কাজ করার জন্য খলিল এর আগে কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি এবং বিপিএলে কাজ করেননি।

সেন্টু ও খলিলের ভালো কাজ, অভিজ্ঞতা অন্যদের জন্য আদর্শ ও পদচিহ্ন হবে বলে মনে করছেন বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভেলাপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন।

তিনি বলেন,‘আমরা তাদের কাজকে সাধুবাদ জানাই।তারা পেশাদার ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ এবং দলের সঙ্গে কাজ করছে। ড্রেসিংরুমে থাকলে অনেক কিছু জানতে পারবে। আইপিএল ভিন্ন ধরণের টুর্নামেন্ট। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফরা আছে। তাদের নৈকট্য বিশাল ব্যাপার। ওদের ভালো কাজ পরবর্তীতে অন্যদের জন্য দরজা খুলে দেবে। পাশাপাশি ওদের কাজের অভিজ্ঞতা দেশের অন্যান্যরা জানলে উপকৃত হবে।’

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়