ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

বিশ্ব রেকর্ডের ছড়াছড়ি ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০২, ১৮ জুন ২০২২   আপডেট: ০৪:৩২, ১৮ জুন ২০২২
বিশ্ব রেকর্ডের ছড়াছড়ি ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড

গোটা ক্রিকেট বিশ্বের চোখ তখন নেদারল্যান্ডসের এমস্টিভিলেন মাঠে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ইংল্যান্ড তখন ৫০০ করার পথে! নিজেদের ৪৮১ রান ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ইনিংসের শেষ ৩ বলে ১৩ রান করলেই ওয়ানডে ক্রিকেট প্রথম ৫০০ রানের দেখা পাবে। 

কিন্তু বাটলার, লিভিংস্টোন মিলে ১১ রানের বেশি নিতে পারলেন না। ফলে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হলো ৪ উইকেটে ৪৯৮ রানে। ওয়ানডে ক্রিকেটে যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৮১ রান করেছিল ইংলিশরা। 

বিশ্ব রেকর্ড গড়া ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন তিন ব্যাটসম্যান। আর ফিফটি পেয়েছেন একজন। মাইলফলক ছোঁয়া চার ব্যাটসম্যানই ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন। তাতে নাস্তানাবুদ হয়েছেন বোলাররা। 

নিজের চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নামা সল্ট ৯২ বলে ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১২২ রান করেন। তিনে নামা ডেভিড মালান ১০৯ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ১২৫ রান। জস বাটলার ৭০ বলে করেন ১৬২ রান। তার ইনিংসে চার ছিল ৭টি, ছক্কা ১৪টি। এছাড়া লিভিংস্টোন ২২ বলে ৬টি করে চার ও ছক্কায় ৬৬ রান করেন। 

সব মিলিয়ে গোটা ইনিংসে ২৬ ছক্কা হয়েছে। যা ওয়ানডে ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ। 

২৭ বলে ফিফটি পাওয়া বাটলার পরের ২০ বলে তুলে নেন ফিফটি। ৪৭ বলে সেঞ্চুরি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় দ্রুততম। এর আগে ৪৬ বলে ও ৫০ বলে সেঞ্চুরি করার কীর্তি আছে তার। দুটিই পাকিস্তানের বিপক্ষে। 

লিভিংস্টোন শুরুর দিকে যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল এবি ডি ভিলিয়ার্সের ১৬ বলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ভেঙে দেবেন। ১৩ বলে তার রান ছিল ৪৬। ডি ভিলিয়ার্সের ফিফটি ছিল ১৬ বলে।

কিন্তু ১৪তম বলে টাইমিং মেলাতে না পেরে ক্যাচ দেন লিভিংস্টোন। পরের দুই বল খেলেন ডট। তাতে ফিফটির জন্য তাকে ১৭তম বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এদিকে সেঞ্চুরি তুলে মালানও অনন্য কীর্তি গড়েছেন। বাটলার ও হেথার নাইটের পর তৃতীয় ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাট সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ড গড়েছেন তিনি। 

ইংল্যান্ড প্রথম দল হিসেবে শুধু বাউন্ডারিতেই তিনশ রান তুলেছে। ৪৯৮ রান করার পথে ২৬ ছক্কা ও ৩৬ চার এসেছে তাদের ইনিংসে। কাটায় কাটায় বাউন্ডারি থেকে এসেছে ৩০০ রান। এছাড়া শেষ ১০ ওভারে রান তোলায়ও বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে। ৪০ থেকে ৫০ ওভারে তারা ১৬৪ রান তুলেছে। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬৩ রান তুলেছিল। 

নেদারল্যান্ডসের বোলাররা ছিলেন বেহিসেবী। লেগ স্পিনার ১০ ওভারে ফিলিপ বেসিভিন ১০৮ রান দিয়েছেন। যা ওয়ানডে একজন বোলারের চতুর্থ সর্বোচ্চ খরুচে বোলিং। এমন দিনে অভিজ্ঞতায় ইংল্যান্ড জিতবে তা অনুমিতই। তাই হয়েছে। ৪৯.৪ ওভারে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান তোলে তারা। উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান স্কট এডওয়ার্ডস সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন। এছাড়া ওপেনার ম্যাক্স করেন ৫৫ রান। 

২৩২ রানে জয় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২৪২ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর রেকর্ড আছে তাদের। 

ঢাকা/ইয়াসিন/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়