মাহমুদউল্লাহর ৬৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংসের মূল্য কতো?
পরিস্থিতিটা দ্বিতীয় ওয়ানডের মতোই সাজিয়ে ফেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আগের দিন ৬৯ বলে তুলেছিলেন ফিফটি। আজ ৬৯ বলে যখন আউট হন তখন রান মাত্র ৩৯। মানে দ্বিতীয় ওয়ানডের চেয়েও মন্থর তার ইনিংস। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তার এই ৬৯ বলের ইনিংসে ৪১ বলই ছিল ডট।
ডটগুলো এমন যে, রান নেওয়ার কোনো চেষ্টা করেননি, বোলারদের সমীহ করেছেন, আলগা শটে টিকে রয়েছেন, নিজের জায়গা ধরে রাখতে অযথচাই সময় নিচ্ছিলেন।
পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে মাঠে এসেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম বলে আলতো টোকায় পেয়ে যান ১ রান। পরের রান পেতে ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে খেলতে হয় ১৩ বল। মাঝের ১২টি বলই ডট! অথচ পাওয়ার প্লে’র পর বৃত্তের বাইরে ফিল্ডার ছিল ছড়ানো-ছিটানো। গ্যাপ বের করে সেসব বলে রানও নিতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান।
অথচ তার সঙ্গে জুটি বাঁধা এনামুল হক বিজয় ঠিক উল্টো ব্যাটিং করেছেন। ফ্লিক শটে ছক্কা উড়িয়েছেন। শর্ট বল সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন হাওয়ায় ভাসিয়ে। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল পয়েন্ট দিয়ে চার, থার্ড ম্যানে পাঠিয়ে সিঙ্গেল আদায় করেছেন। মূলত রান পাওয়ার তাড়না থেকেই এমন ব্যাটিং করেছেন।
আর মাহমুদউল্লাহ কেবল টিকে থাকতেই লড়াই করেছেন। শেষ ম্যাচে শেষ ১৫ বলে ৩০ রান তুলে ৮৪ বলে ৮০ রান করে পরিস্থিতি সামলে নিয়েছেন। কিন্তু প্রতিদিন এক যাবে না কারোরই। সেই দীক্ষাই যেন পেলেন আজ। ৩৫তম ওভারের পর যখন হাত খুলে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তখনই গাভারা তাকে ইনসাইড এজে বোল্ড করান। বল স্ট্যাম্প ভাঙার পর মুখে একরাশ হতাশা দেখান এ ব্যাটসম্যান। উইকেটে আরও কিছুক্ষণ টিকে থেকে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করতেন হয়তো। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে মন্থর ইনিংস খেলেছেন তাতে সব চেষ্টাই আজ বৃথা গেল!
উইকেটে থিতু হওয়ার পর আফিফ হোসেন আজ ফিনিশিংয়ের ভূমিকায়। ৮১ বলে ৮৫ রান করেছেন ৬ চার ও ২ ছক্কায়। আর এনামুল হক বিজয়ের ৭১ বলে ৭৬ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চার ও ৪ ছক্কায়। তাতে দলের রান পৌঁছায় ২৫৬ -তে। তবে ভাবনার বিষয় বাংলাদেশের ডট বল। আগের ম্যাচে ১৫১ ছিল ডট বল। আজ সেটা বেড়ে হয়েছে ১৬৬টি। পঞ্চাশ ওভার ক্রিকেটে এ তো নিশ্চিত ‘ক্রাইম’।
ইয়াসিন/আমিনুল