নেপালকে উড়িয়ে সাফে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে বাংলাদেশের মেয়েরা। এর আগে ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। এবার টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে সাবিনা খাতুনের দল। বাংলাদেশের হয়ে ২টি গোল করেন কৃষ্ণা রানী সরকার। আর ১টি গোল করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। নেপালের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আনিতা বাসনেট।
আবারও কৃষ্ণার ম্যাজিক, ৩-১ গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ
আবারও কৃষ্ণার গোল। মাঝমাঠের একটু সামনে থেকে ডি বক্সের ডান দিকে লম্বা পাস পান কৃষ্ণা। সুযোগ হাতছাড়া করেননি। নেপালের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জড়ান নেপালের জালে। গোলহজম করার ৭ মিনিট না পেরোতেই বাংলাদেশ আবারও লিড নেয়। এটি কৃষ্ণার দ্বিতীয় গোল। বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ৩-১ গোলে।
৭০ মিনিটে আনিতার গোলে ব্যবধান কমালো নেপাল
ম্যাচের ৭০ মিনিটে নেপাল ১ গোল শোধ করে। গোল শোধে মরিয়া নেপাল শিবিরে স্বস্তি। ৭০ মিনিটে ডি বক্সে বল পান আনিতা বাসনেট। ডান দিকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে বল জড়ান বাংলাদেশের জালে। গোলরক্ষক রুপনা চাকমা ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি।
মাঠে নামলেন ঋতুপর্না
৫৮ মিনিটে সানজিদাকে উঠিয়ে নেন কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। তার পরিবর্তে মাঠে নামান ঋতুপর্না চাকমাকে। তিনি নেমেই আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে ফাউল করেন নেপালের মেয়েরা।
ট্রফি থেকে ৪৫ মিনিট দূরে বাংলাদেশ
২ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের লড়াইয়ে বাংলাদেশ। ট্রফির লড়াইয়ে জিততে হলে আরও ৪৫ মিনিট বাংলাদেশকে খেলতে হবে দুর্দান্ত। নেপালকে আটকে রাখার পাশাপাশি বাড়াতে হবে ব্যবধান
স্বপ্নের ফাইনালে ২ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ
প্রথম মিনিটেই আক্রমণ করে বাংলাদেশ। ১০ মিনিটে স্বপ্নার বদলি হিসেবে নামা শামসুন্নাহার জুনিয়র প্রথম গোল দেন ১৩ মিনিটে। এরপর কিছুটা ছন্দহীনতা দেখা যায় বাংলাদেশ শিবিরে। আক্রমণের চেষ্টা চালায় নেপাল। ৩৭ মিনিটে অল্পের জন্য বেঁচে যায় বাংলাদেশ। তার মিনিট পাঁচেক পরেই কৃষ্ণার গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রথমার্শ শেষ করে লাল সবুজের জার্সিধারীরা।
শামসুন্নাহারের পর নেপালের জালে এবার কৃষ্ণার গোল
শামসুন্নাহারের পর নেপালের জালে এবার কৃষ্ণার গোল। নেপালের ভুলে ডি বক্সের একটু সামনে বল পেয়ে যান সাবিনা। দেরি না করে ডিফেন্ডারদের ফাঁক গলিয়ে বল বাড়িয়ে দেন। সেখানে থাকা কৃষ্ণা বল পেয়ে ডি বক্সে ডুকে বাঁ পায়েয় শটে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জড়ান নেপালের জালে। ৪২ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
অল্পের জন্য রক্ষা পেল বাংলাদেশ
গোল পাওয়ার পর যেন কিছুটা ছন্দহীন দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে। ফ্রি কিক থেকে নেপালের নেওয়া শট প্রথমে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। ডানদিকে শূন্যে ঝাঁপিয়ে বল পাঠিয়ে দেন বাইরে। কর্নার পায় নেপাল। সেখানেই বিপদ হতে পারতো বাংলাদেশের। গোললাইন থেকে অল্পের জন্য গোল হজম থেকে রক্ষা পায় মেয়েরা। বেশ কয়েকবারের চেষ্টায় ক্লিয়ার করে বাংলাদেশ।
১৩ মিনিটে শামসুন্নাহারের গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ
১৩ মিনিটে শামসুন্নাহারের গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ। ১০ মিনিটে স্বপ্নার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। মাঠে নেমেই তিনি গোল দিয়ে উল্লাসে ভাসান বাংলাদেশকে। ডান দিক থেকে মণিকা চাকমার ক্রস পেয়ে ডি বক্সে থাকা শামসুন্নাহার পায়ের আলতো শটে নেপালের জালে বল জড়ান। আক্রমণ দিয়ে শুরু করা বাংলাদেশ ম্যাচের ১৩ মিনিট পার না হতেই স্বপ্নের ফাইনালে লিড নেয়।
ইনজুরিতে স্বপ্না, মাঠে শামসুন্নাহার জুনিয়র
ম্যাচের দশম মিনিটে বাংলাদেশ একজনকে পরিবর্তন করে। ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন সিরাত জাহান স্বপ্না। মাঠে নামেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।
প্রথম মিনিটেই মারিয়া মান্ডার আক্রমণ
মাঝ মাঠ থেকে দৌড়ে এসে ডি বক্সের বেশ খানিকটা সামনে বল পান মারিয়া মান্ডা। মহূর্ত দেরি না করে গোল পোস্ট বরাবর শট নেন মান্ডা। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোল বাঁচান নেপালের গোলরক্ষক। বাংলাদেশ পায় কর্নার। শুরুতেই আক্রমণাত্বক বাংলাদেশ।
লড়াই শুরু
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি বাংলাদেশ। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া পাঁচটায় কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হয়।
শুরুর একাদশে যারা
বাংলাদেশ নেমেছে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে... রুপনা চাকমা (গোলরক্ষক) সাবিনা খাতুন অধিনায়ক) শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, আঁখি খাতুন, মাসুরা পারভিন, মণিকা চাকমা, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, কৃষ্ণা রানাী সরকার ও সিরাত জাহান স্বপ্না।
প্রথম ট্রফির আশায় বাংলাদেশ
স্বাগতিকরা খেলছে পঞ্চম ফাইনাল আর বাংলাদেশ দ্বিতীয়। ২০১৬ সালে নিজেদের প্রথম ফাইনালে ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। সেবারের মতো এবারও ফাইনাল খেলতে হচ্ছে স্বাগতিকদের মাঠে। মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গত পাঁচটি আসরেই ছিল ভারতের একক আধিপত্য। সবগুলোতেই চ্যাম্পিয়ন তারা, চারবার ফাইনালে খেলে তাদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি নেপাল এবং একবার হারে বাংলাদেশ। এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এই প্রথম ঘটলো বিরল ঘটনা, শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে নেই ভারত।
রোড টু ফাইনাল
এবারের আসরে চার ম্যাচেই ২০ গোল করে ফেললো বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বে মালদ্বীপকে ৩-০, পাকিস্তানকে ৬-০ ও ভারতকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। আর ফাইনালে ভুটানকে ৮ গোলে উড়িয়ে দেয় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
ফাইনালে হবে কঠিন লড়াই
টুর্নামেন্ট জুড়ে দাপট দেখালেও ফাইনাল কঠিন হতে যাচ্ছে মনে করেন বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, ‘স্বাগতিক দলের বিপক্ষে খেলা সবসময় কঠিন। কিন্তু আমরা ফাইনালের জন্য আত্মবিশ্বাসী।’ বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে পাঁচটি ট্রফি জেতা এই কোচ কখনও সিনিয়র দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। এবার সেই আক্ষেপ ঘুচানোর দ্বারপ্রান্তে তিনি। ফাইনাল খেলার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত বললেন ছোটন, ‘আমাদের খেলোয়াড়রা ফাইনাল খেলতে প্রস্তুত। আমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত। ফাইনালের জন্য আমাদের পরিকল্পনা আছে এবং সেই অনুযায়ী খেলবো।’
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
আরো পড়ুন