বোলিংয়েও দেশিদের রাজত্ব, শীর্ষে কুমিল্লার তানভীর
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
অষ্টম আসরে এসে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দেখলো অন্যরকম কিছু। ব্যাট-বলে সব বিভাগেই বিদেশি তারকাদের ছাড়িয়ে রাজত্ব দেশি ক্রিকেটারদের। বোলিংয়েও ব্যাটিংয়ের মতো দেশিদের রাজত্ব। শীর্ষে আছেন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তানভীর ইসলাম।
সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো ট্রফি ঘরে তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এর মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো প্রায় দেয় মাস ধরে চলা বিপিএলের অষ্টম আসরের। রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য বিপিএলের এই আসরে বল হাতে শীর্ষে থাকা ৫ ক্রিকেটার নিয়ে এই প্রতিবেদন।
তানভীর ইসলাম
বাঁহাতি স্পিনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই স্পিনার নিয়েছেন ১৭ উইকেট। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে তানভীরের রয়েছে দারুণ অবদান। ফাইনালেও ইনফর্ম তৌহিদ হৃদয়কে ফিরিয়েছেন দ্বিতীয় ওভারে, শূন্য রানে। ওভার প্রতি ৬.৩৬ রান দিয়েছেন তিনি। সেরা পারফরম্যান ৩৩ রানে ৪ উইকেট। সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হওয়ায় ৫ লাখ টাকা পুরষ্কার পান তানভীর।
হাসান মাহমুদ
দেশি পেসারদের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে দারুণ বোলিং করে গেছেন হাসান মাহমুদ। ১৪ ম্যাচ খেলে তিনিও নিয়েছেন ১৭ উইকেট। ওভার প্রতি দিয়েছেন ৭.৯৮ রান। সেরা পারফরম্যান্স ১২ রানে ৩ উইকেট। তার দল রংপুর হেরে যায় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। তানভীরের সঙ্গে যৌথভাবে ৫ লাখ টাকা পেয়েছেন হাসানও।
নাসির হোসেন
এবারের বিপিএলে ফর্মে ফেরেন নাসির হোসেন। ব্যাট হাতে ৩৬৬ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১৬ উইকেট নিয়ে আছেন তৃতীয় স্থানে। ঢাকা ডোমিনেটর্স জয়ের দেখা না পেলেও নাসির আলো ছড়িয়েছেন। ঢাকার নেতৃত্ব দেওয়া এই অলরাউন্ডার ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৬.৮১ রান। সেরা পারফরম্যান্স ২০ রানে ৪ উইকেট। তার দল প্লে অফ খেলতে পারেনি।
আজমতুল্লাহ ওমরজাই
প্লে অফে ওঠার পেছনে রংপুর রাইডার্সের হয়ে বড় অবদান রেখেছেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। ওভার প্রতি ৭.১৭ রান দিয়ে ১১ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ১৫ ম্যাচ। এমন দুর্দান্ত পারফর্ম করার পরও প্লে অফের দুই ম্যাচে তাকে খেলাতে পারেনি রংপুর। সেরা পাররফরম্যান্স ১৭ রানে ৩ উইকেট। ডোয়াইন ব্র্যাভোদের জায়গা করে দিয়ে আজমতুল্লাহকে বসে থাকতে হয়েছে ডাগআউটে। সেরা পাঁচ বোলারদের মধ্যে তিনিই একমাত্র বিদেশি। অবস্থান চতুর্থ স্থানে।
রুবেল হোসেন
ফাইনালে উঠেও ট্রফি জিততে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স। সিলেটের সমর্থকরা এর জন্য দায়ী করতে পারেন রুবেলকেই। শুরুতে ক্যাচ মিসের পর বল হাতে ১৭তম ওভারে দেন ২৩ রান। যেখানে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ৪ ওভারে ৫২ রান! এই এক ওভারেই সহজে ম্যাচ বের করে নেয় কুমিল্লা। তবে পুরো আসরে রুবেল খেলেছেন দারুণ। মাত্র ৮ ম্যাচে ৮.৫২ রান দিয়ে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। সেরা পাররফরম্যান্স ৩৭ রানে ৪ উইকেট।
ঢাকা/রিয়াদ