আফসোস আমার আছে: তাইজুল
ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে || রাইজিংবিডি.কম
এমন এক মঞ্চে তাইজুল ইসলাম এসেছিলেন যেখানে তার কীর্তি নিয়েই কথা বলার কথা ছিল। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে এখন পর্যন্ত তার শিকার ৮ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ৪ উইকেট। সুযোগ আছে ফাইফারের। অথচ তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি ওয়ানডে দলে সুযোগ না পাওয়ার প্রসঙ্গটিও উঠে আসলো।
যেখানে শেষ এক বছরে দারুণ করে আসছিলেন। প্রথমে এশিয়া কাপ। পরে বিশ্বকাপ। এখন নিউ জিল্যান্ড সফর। সাদা বলে উপেক্ষিত তাইজুল। তাকে টেস্ট স্পেশালিস্ট বলা হলেও সাদা বলে যথেষ্ট কার্যকরী। কিন্তু নির্বাচকরা তাতে আপাতত নজরই দিচ্ছেন না। এ নিয়ে আক্ষেপ লুকালেন না। সরাসরি জানালেন, ওয়ানডে দলে সুযোগ না পাওয়ার আফসোস তারও রয়েছে।
বিশ্বকাপের আগে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হচ্ছিল তাইজুল ও নাসুমকে। দুজনই ভালো করছিলেন। দলে সুযোগ পেতে মরিয়া ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাকিব ও হাথুরুসিংহে জুটি বেছে নেয় নাসুমকে। বাঁহাতি স্পিনার বিশ্বকাপে পারেননি নিজের সুযোগ কাজে লাগাতে। পাননি কোনো উইকেট। সেজন্য দল থেকেও বাদ পড়েছেন। নিউ জিল্যান্ড সফরে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তবে নির্বাচকরা বলছেন, দলের পরিকল্পনা পরিবর্তন হওয়াতে নেওয়া হয়নি নাসুমকে। হাবিবুল বাশার বলেছেন, ‘নাসুম তো সাদা বলে নিয়মিত খেলছিল। তাকে আমরা দেখেছি অনেক। নাসুম যে খুব খারাপ করেছে, তা বলব না। তবে ওর কাছ থেকে আমরা যেটা চাচ্ছিলাম, উইকেট শিকার করা, সেটা সাম্প্রতিক সময়ে পাচ্ছিলাম না।’
নাসুমকে বাদ দেওয়া হলেও তাইজুলকে বিবেচনা করা হয়নি। যিনি ওয়ানডেতে সবশেষ ১৩ ম্যাচের কোনোটিতেই উইকেটশূন্য ছিলেন না। গতবছর দলে ফেরার পর ৯ ওয়ানডেতে তার শিকার ১৮ উইকেট। গড় ২০.৬১। তার পরও দলে আর জায়গা মিলছে না।
আসন্ন নিউ জিল্যান্ড সফরে দলে সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপ ঝরল তার কণ্ঠে, ‘আফসোস তো সবারই থাকে। আমারও আফসোস আছে। গতকাল তো দল দিয়েছে, হয়তো দেখেছেন। আমি আসলে এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না।’
তাইজুল আরেকটি সুযোগ পাবেন কিনা ওয়ানডে ফরম্যাটে তা সময় বলে দেবে। তবে সুযোগ পেলে যে নিংড়ে দিতে চান তা বোঝা যায় তার দারুণ মানসিকতায়, চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায়।
ইয়াসিন/আমিনুল