ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

‘ভাষাগত দূরত্ব’ ঠেলে খালেদ-নাহিদদের নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় অ্যাডামসের

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৩, ২২ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ২১:২৪, ২২ মার্চ ২০২৪
‘ভাষাগত দূরত্ব’ ঠেলে খালেদ-নাহিদদের নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় অ্যাডামসের

সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক পেসার আন্দ্রে অ্যাডামস। বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের বর্তমান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পেসাররা যেভাবে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তাতে তার মুখে ফুটেছে হাসি। নাহিদ রানা ও খালেদ আহমেদ ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন। শরিফুলের পকেটে গেছে ১ উইকেট।

সব মিলিয়ে সিলেট টেস্টের প্রথম দিনটি ভালো কেটেছে পেসারদের। তবে উন্নতির আরো জায়গা আছে। সেসব নিয়েই চলছে কাজ। তবে কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাষাগত দূরত্ব। অচিরেই এই দূরত্ব কমিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পেস বোলিং কোচের।
 
প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে শিষ্যদের প্রশংসায় ভাসানোর পাশাপাশি নানাদিক নিয়ে কথা বলেছেন। তার কথা শুনেছে রাইজিংবিডিও,

আজকের বোলিং কেমন হলো?
আন্দ্রে অ্যাডামস: জুটি গড়ে বোলাররা সারাদিন ভালো বোলিং করেছে। রানা খালেদের সঙ্গে জুটি গড়ে ভালো বোলিং করেছে। মাঝে কিছুটা সময়ে স্বস্তি চলে এসেছিল। স্পিনাররা পরবর্তীতে এসে ভালো খেলেছে এবং তারা স্কোরবোর্ড নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। আমি মনে করি রানা অসাধারণ বোলিং করেছে। বিশেষ করে তার প্রথম ম্যাচ বিবেচনায়।

শুরুর বোলিং নিয়ে আলাদা করে নিশ্চয়ই কিছু বলবেন। ৫৭ রান তুলতেই ওরা ৫ উইকেট হারিয়েছিল?
আন্দ্রে অ্যাডামস: খালেদ অ্যাকুরেট বোলিং করেছে। এই দলটার বোলিং আক্রমণ একেবারেই তরুণ। শরিফুল ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভালো বোলিং করেছে। আমি মনে করি রানা এবং খালেদ জুটি গড়ে ভালো বোলিং করেছে। বেশ কয়েকবার সুযোগ তৈরি করেছে। যা দেখতে দারুণ লেগেছে। নতুন বলে প্রথম দশ ওভারে সুযোগ তৈরি করা এবং চাপে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তারা ওই কাজটাই করেছে।

পেসার নাহিদ রানার আজ অভিষেক হলো। তাকে কেমন দেখলেন?
আন্দ্রে অ্যাডামস: রানা প্রতিভাবান এবং গতিময়। তার প্রায় প্রতিটি বলই ১৪৫ কি.মির আশেপাশে ছিল। বোলিং অ্যাকশনটাও দারুণ। তবে এখনও নতুন। তার প্রচুর শেখার আছে। তবে প্রতিভাবান বলতে দ্বিধা নেই।

পেসারদের নিয়ে খুব অল্পদিন কাজ করেছেন। কেমন দেখছেন তাদেরকে?
আন্দ্রে অ্যাডামস: আমি তাদের নিয়ে কাজ করতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত। আপনি যখন তরুণ পেসারদের যেমন খালেদ, সাকিব (তানজিম) যে কিনা ওয়ানডেতে ভালো করার পর ইনজুরিতে পড়ল। তারা শেখার এবং ভালো করার জন্য ক্ষুধার্থ। আমি এই মুহূর্তে যাদেরকে পেয়েছি তাদের নিয়ে খুশি। 

কোনো জটিলতার মুখে পড়ছেন?
আন্দ্রে অ্যাডামস: তাদের উন্নতি করানো আমার কাজের অন্তর্ভূক্ত। তবে মস্যাটা হচ্ছে খেলা প্রতিনিয়ত চলতেই আছে। তাই খেলার মাঝেই তাদের উন্নতি করতে হয়। সঙ্গে আরেকটি সমস্যাও অনুভব হচ্ছে। ভাষাগত দূরত্ব। এটাকে দূর করতে হবে। ছেলেদের বোঝাতে যেভাবে সহজবোধ্য হচ্ছে সেভাবেই কাজ চালানো হচ্ছে। নাফিস ইকবাল (দলের ম্যানেজার) দোভাষীর কাজ করছে। আমার পক্ষ থেকে কোনো চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে না। তারা এসব কাজে অভ্যস্ত। আমি সেই প্রক্রিয়াটাই অনুসরণ করছি। এটা আমার কাজেরই অংশ।

সিলেট/ইয়াসিন/বিজয়

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়