ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ইপিএলে অবনমনের শঙ্কায় থাকা স্পার্সের ইউরোপায় চমক

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ২ মে ২০২৫   আপডেট: ১৫:২১, ২ মে ২০২৫
ইপিএলে অবনমনের শঙ্কায় থাকা স্পার্সের ইউরোপায় চমক

এই মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) টেবিলের ১৬তম স্থানে অবস্থান করছে টটেনহ্যাম হটস্পার। বিগত ৪৮ বছরের মধ্যে অর্থৎ ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমের পর এরচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিল না নর্থ লন্ডনের দলটির। এই মৌসুমে ইপিএলের শেষ তিনটা দল যদি খুব বাজে পারফরম্যান্স না করত, তাহলে স্পার্স হয়ত অবনমিত হয়ে যেত। অথচ এই দলটাই ইউরোপায়ের ক্লাব লড়াইয়ের মঞ্চে চমক দেখিয়েই যাচ্ছে।

ইউরোপা লিগের সেমি ফাইনালের প্রথম লেগে নরওয়েজিয়ান ক্লাব গ্লিমটকে বৃহস্পতিবার (১ মে) দিবাগত রাতে ৩-১ গোলে হারিয়েছে টটেনহ্যাম। যা এই মৌসুমে নর্থ লন্ডনের ক্লাবটির অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। খুব বড় অঘটন না ঘটলে স্পার্স ফাইনাল খেলবে, যা ২০০৮ সালের পর তাদের প্রথম শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

আরো পড়ুন:

ইউরোপে যাই ঘটুক টটেনহ্যামের অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগলু হয়ত চাকরি হারাবেন। তবে একটি শিরোপা জয় দিয়ে মৌসুম শেষ করা হবে দারুণ সম্মানের। অন্যদিকে ১৭ বছর শিরোপা ক্ষরায় থাকা স্পার্স সবশেষ ইংলিশ লিগ কাপ জিতেছিল। এরপর মরিসিও পোচেত্তিনো, জোসে মরিনহো কিংবা আন্তোনিও কন্তের মতো ইউরোপের বিখ্যাত ম্যানেজাররাও তাদের শিরোপা এনে দিতে পারেননি। ইউরোপা লিগ জিততে পারলে লন্ডনের ক্লাবটি আগামী মৌসুমে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পারবে।

ঘরের মাঠ টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করে স্বপ্নের মতো শুরু করে ইংলিশ ক্লাবটি। পেড্রো পোরোর ক্রস থেকে ব্রেনান জনসন মৌসুমের ১৭তম গোলটি করেন। এরপর জেমস ম্যাডিসন ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে পোরোর আরেকটি পাস থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তিনজন ডিফেন্ডারের মাঝে দিয়ে সেটি জালে জড়িয়ে দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও একটি গোল আসতে পারত যদি না রদ্রিগো বেনটাকুরের ভলি গ্লিমট গোলকিপার হাইকিন ঠেকিয়ে না দিতেন। তৃতীয় গোল আসে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির হস্তক্ষেপে। রোমেরোকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। স্ট্রাইকার ডমেনিক সোলাঙ্কি স্পট কিক থেকে ব্যবধান ৩-০ করতে ভুল করেননি। 

দ্বিতীয়ার্ধে গ্লিমট ৭০ শতাংশ বলের দখল রেখেও কোনো বড় সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। শুধুমাত্র উলরিক সাল্টনেসের একটি শট বেনটানকুরের গায়ে লেগে স্পার্সের জালে ঢুকে যায়। 

স্পার্সের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ এখন ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তাদের দুই স্কোরার ম্যাডিসন ও সোলাঙ্কির চোটে পড়ে মাঠ ছাড়াটা। অন্যদিকে দ্বিতীয় লেগটা হতে যাচ্ছে খুবই কঠিন। গ্লিমট যে এই মৌসুমে ঘরের মাঠে পোর্তো, বেসিকতাস, অলিম্পিয়াকোস ও লাৎসিওর মতো দলকে হারিয়েছে। অন্যদিকে ২০২২-২৩ মৌসুম থেকে ইউরোপা লিগে তাদের ঘরের মাঠে জয় ৭০ শতাংশ আর অ্যাওয়ে ম্যাচে তা মাত্র ৯ শতাংশ।

আগামী বৃহস্পতিবার আর্কটিক সার্কেলে অ্যাস্পমিরা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগে অনুষ্ঠিত হবে। স্পার্স বড় কোন কোনো বিপর্যয় না পড়লে, ১৯৮৪ সালের পর আবারও এই আসরের ফাইনাল খেলবে। তেমনটা হলে ফুটবল বিশ্ব বিলবাওয়ে দেখতে যাচ্ছে একটি অলইংলিশ ফাইনাল হতে পারে। আরেক সেমিফাইনালে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাথলেতিক বিলবাওকে। 

স্পার্স আগে ১৯৭২, ১৯৭৪ ও ১৯৮৪ সালে ইউরোপা লিগের ফাইনাল খেলেছে। প্রথম ও শেষবার শিরোপা জিতেছিল।

ঢাকা/নাভিদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়