বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম টি-টোয়েন্টি আজ

হুটহাট সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দুই টি-টোয়েন্টি খেলার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দল যাবে পাকিস্তানে। পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে। তার আগে পরিকল্পনা হলো দুবাইয়ে ক্যাম্প করবে। সঙ্গে দুইটি ম্যাচও খেলবে। নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলার পরিবর্তে স্বাগতিক দলকেই প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ।
আইসিসির সহযোগী দেশটিও সুযোগ লুফে নেয়। দুই দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচ।
ক্রিকেটের বহু ঐতিহাসিক ঘটনা ও ম্যাচের সাক্ষী হয়ে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দলের ২০ ওভারের ক্রিকেটের এই সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে। এই সিরিজের স্পন্সর ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপ। এবারের সিরিজের নামকরণ করা হয়েছে ‘ওয়ালটন ইউএই বনাম বাংলাদেশ টি২০ সিরিজ ২০২৫।’ ১৯ মে হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
দুই দল এর আগে তিন ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। ২০১৬ এশিয়া কাপে ঢাকায় প্রথমবারের দেখায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বাংলাদেশ খুব সহজেই হারায়। এরপর ২০২২ সালে বাংলাদেশ একটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে তাদের বিপক্ষে। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া দুটি ম্যাচেও বাংলাদেশ জিতেছে। দুই দল দ্বিতীয়বার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার অপেক্ষায়।
এই সিরিজ দিয়ে নতুন পথ চলা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলেরও। বাংলাদেশ পাকাপাকিভাবে নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলতে নামতে যাচ্ছে। নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর বিসিবি অপেক্ষায় ছিল নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করার। চার মাস অপেক্ষার পর বিসিবি লিটন দাসকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছে।
এর আগে লিটন দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অধিনায়কত্ব তার কাছে নতুন নয়। তবে পাকাপাকিভাবে অধিনায়কত্ব পাওয়ায় নিজের ক্যানভাসকে বড় করে দেখছেন তিনি। ইতিবাচক থেকে নতুন দায়িত্বকে সুযোগ হিসেবে নিতে চান তিনি,
“চাপের কিছু নেই। অধিনায়ক যখন ছিলাম না, তখনও খারাপ করেছি। এখনও এমন না যে, অধিনায়ক হলে আবার খারাপ করব। এটা বাড়তি সুবিধা হতেও পারে। যেহেতু একটা নতুন সুযোগ এসেছে... সবাই বিশ্বাস করি, যে ইতিবাচকভাবে চিন্তা করে তার এক-দুই দিন পর হলেও ফল আসে। আমি ওই জায়গায় আছি। চেষ্টা করব ইতিবাচকভাবে চিন্তা করার যেন ফলটা আমার দিকে নিয়ে আসতে পারি।”
লিটন কুমার দাসের নেতৃত্বের মেয়াদ আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তার দৃষ্টিও এখন সেই আসরেই, “স্বাভাবিকভাবেই এটা (লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব) ইতিবাচক বিষয়। কারণ আপনি যখন লম্বা সময়ের জন্য সুযোগ পাবেন, অনেক কিছু চিন্তা করতে পারবেন। এখন দেখার বিষয়, এই সময়ের মধ্যে আমি দলটা কতটুকু গুছিয়ে নিতে পারি। আমিও অনেক আশাবাদী এটা নিয়ে যে, দীর্ঘমেয়াদি একটা চিন্তা থাকবে। আমার হাতে যে ক্রিকেটাররা আছে, (বিশ্বকাপে) আমরা ভালো কিছুই উপহার দিতে পারব।”
এর আগে ৪ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া লিটনের নতুন শুরুটা কেমন করেন সেটাই দেখার।
ঢাকা/ইয়াসিন