ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নরসিংদীর পাঁচটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩   আপডেট: ০৮:৪৫, ১১ আগস্ট ২০২০
নরসিংদীর পাঁচটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু

নরসিংদী

জেলা প্রতিবেদক
নরসিংদী, ১২ সেপ্টেম্বর: আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নরসিংদীর পাঁচটি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। 

উপযুক্ত প্রার্থী মনোনয়নের ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলোও। এক সময় জেলাজুড়ে বিএনপি’র দূর্গ থাকলেও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ জেলার ৫টি আসনই আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়।

আসনগুলো ধরে রাখার সংগ্রামে আওয়ামী লীগ ভালোভাবে এগুতে থাকলেও নরসিংদী পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন নিহত হওয়ার পর থেকে দলীয় কোন্দলের কারণে অনেকটা সঙ্কট দেখা দিয়েছে দলটিতে।

অপরদিকে সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আগমনকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দলীয় কোন্দল কিছুটা কমে আসায় ভাল অবস্থানের দিকে এগুচ্ছে বিএনপি।

তবে সংস্কারপন্থীদের সাথে সমঝোতা না হওয়ায় নরসিংদীর দু’টি আসনে বিএনপি’র জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরপরও জেলার হারানো ৫টি আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি।

১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদীর ৫টি আসনের মধ্যে সবকটিই ছিলো বিএনপি’র দখলে। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে বিএনপি ৩টি আসনে এবং আওয়ামী লীগ ২টি আসনে জয় লাভ করে।

২০০১ সনের নির্বাচনে আবারো বিএনপি’র দখলে চলে যায় ৪টি আসন এবং আওয়ামী লীগ ১টি আসনে জয়লাভ করে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (মহাজোট) সবকয়টি আসনেই তাদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের বিজয় লাভের পর মহাজোট সরকারের দীর্ঘ প্রায় ৫ বছরে দলীয় তৎপরতা তেমন লক্ষ্য করা যায় নি।

২০১১ সালের ১ নভেম্বর মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ঘনিষ্ঠ সহচর নরসিংদী পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র আলহাজ্ব লোকমান হোসেন দলীয় কার্যালয়ে সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হন।

এ হত্যা  মামলায় মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ভাইসহ দলীয় ১২ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল চরম আকার ধারণ করে। এমপিদের মধ্যেও বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়।

অপরদিকে, ২০০৪ সালের ২৭ মার্চ জেলা বিএনপি’র তৎকালীন সভাপতি নরসিংদী-১ সদর আসনে চারবার নির্বাচিত সাংসদ সামসুদ্দিন আহমেদ এছাকের মৃত্যুর পর নরসিংদীতে বিএনপি’র রাজনীতিতে আগমন ঘটে খায়রুল কবির খোকনের।

স্থানীয় প্রভাবশালী দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরোধিতার মধ্যেও উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি এমপি নির্বাচিত হন।

পরে, খোকনের রাজনৈতিক যোগ-বিয়োগে অনেক প্রভাবশালী নেতা পদ হারান। নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহীর নেতৃত্বে দলের একাংশ দলীয় কর্মসূচি পালন করে আলাদাভাবে।

এতে, জেলা বিএনপি’র কোন্দল প্রকাশ পায়। দীর্ঘদিনেও জেলা বিএনপিঅ অভ্যন্তরীন কোন্দল থেকে বের হয়ে আসতে পারে নি।

প্রায় ২১ বছর পর গত ৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নরসিংদীতে আসেন। তার আগমন উপলক্ষে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা অতীতের সকল বিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেন।

যার ফলশ্রুতিতে দীর্ঘদিন পর বিভক্ত জেলা বিএনপিতে ঐক্যের সুর শোনা গেল। দলীয় কোন্দল ও পদ পাওয়া-না পাওয়ার বেদনা ভুলে দীর্ঘ ১০ বছর পর এক সারিতে এসে দাঁড়িয়েছেন জেলা পর্যায়ের নেতারা।

তবে, সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত বিএনপি’র সাবেক মহাসচিব প্রয়াত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের অনুসারীরা এখনো বিএনপি’র রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন।

এদিকে, দেশের ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি ও বিএনপিতে ঐক্যের সুর দেখে আওয়ামী লীগ দলীয় মন্ত্রী, এমপি এবং সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন।

দীর্ঘ ৪ বছর পর নরসিংদীর তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে কর্মী সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা করতে গিয়ে কঠিন সমালোচনা ও প্রশ্নের সম্মূখীন হচ্ছেন তারা।

তারা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আবারো দলকে জয়ী করার জন্য মাঠে কাজ শুরু করার আহবান জানান।

এদিকে, জেলাজুড়ে একসময় জাতীয় পার্টির ভালো অবস্থান থাকলেও সেই সুদিন নেই বহুদিন ধরেই। এরপরও জেলা উপজেলায় নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে মাঠে থাকার চেষ্টায় রয়েছে দলটি।

আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংশয়-সন্দেহ থাকলেও মাঠে নেমে গেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

মনোনয়ন দৌড়ঝাঁপে এগিয়ে থাকতে কারণে-অকারণে দলীয় প্রধানের ছবি দিয়ে নিজেদের ছবি সম্বলিত পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড সাটিয়ে নির্বাচনী এলাকার শোভাবর্ধন করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ক্রমেই নির্বাচনমুখী হয়ে উঠছে মাঠের রাজনীতি।

নরসিংদীর ৫টি আসনে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন- নরসিংদী-১ (নরসিংদী সদর) আসন:- আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান সাংসদ লে. কর্নেল (অব:) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরু বীর প্রতীক, তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী খায়রুল কবির খোকনকে ১৬ হাজার ৬৫১ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি একজন সৎ এমপি হিসাবে সর্বমহলে পরিচিত।

এবারও তার দলীয় মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক এড. আসাদুজ্জামান, সাবেক সচিব মোহাম্মদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শওকত আলী ইঞ্জিনিয়ার ও জি এম তালেব হোসেন।

বিএনপি দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- সাবেক এমপি ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, চার বার নির্বাচিত সাবেক এমপি প্রয়াত সামসুদ্দিন আহমেদ এছাকের সহধর্মিণী বেগম রোকেয়া আহমেদ লাকী, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মিঞা মো. সেলিম। তবে, এর মধ্যে খায়রুল কবির খোকনের মনোনয়ন চূড়ান্ত প্রায়।

জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন- সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতা এড. মোস্তফা জামাল বেবী। ১০টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৬৯ হাজার ২২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩১ হাজার  ৯৬৪ জন ও মহিলা ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৭ জন।

নরসিংদী-২ (পলাশ) আসন:- এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান এমপি ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ।

তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খানকে ৩ হাজার ৮২০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন।

তবে, এবার বিভিন্ন অনিয়মের কারণে দলীয়ভাবে তার অবস্থান বেশি সুবিধাজনক নয় বলে জানা যায়। অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন, সাবেক নৌ-বাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল মো. নূরুল ইসলাম ও সাবেক বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরী।

বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান (প্রায় চূড়ান্ত), বিএনপি নেতা এলদেম কবীর, পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. আব্দুল বাছেদ।

জাপার এড. রশীদুজ্জামান ও সাবেক এমপি এড. দেলোয়ার হোসেন, জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা জায়েদুল কবির ও ইসলামী আন্দোলের ইঞ্জিনিয়ার মহসিন আহমেদ।

এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৬ হাজার ৭০১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩ হাজার ৫৮ জন ও মহিলা ১ লাখ ৩ হাজার ৬৪৩ জন।

নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসন:- এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান এমপি জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন।

তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র সাবেক মহাসচিব সংস্কারপন্থী নেতা হেভিওয়েট প্রার্থী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াকে ২৬ হাজার ৮০৪ ভোটে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন।

এবারও তার দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী চূড়ান্ত বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তবে শেষ পর্যন্ত এ দলীয় মনোনয় কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মোল্লার ভাগ্যেও জুটতে পারে।

এছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, সাবেক এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান সাজু।

বিএনপি দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, খালেদা জিয়ার আইনজীবী বিএনপি’র কেন্দ্রীয় গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এড. মো. সানাউল্লাহ্ মিয়া, বিশিষ্ট শিল্পপতি নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী, সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আব্দুল মান্নার ভূঁইয়ার ছেলে ভূঁইয়া নন্দিত নাহিয়ান স্বজন।

জাপার এড. রেজাউল করিম বাসেত। এ আসনে মোট ভোটার হলো ২ লাখ ৪৮৪ ভোট এর মধ্যে পুরুষ ৯৬ হাজার ১৯৭ জন ও মহিলা ১লাখ ৪ হাজার ২৮৪ জন।

নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসন:- এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান এমপি এড. নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী লে. কর্নেল (অব:) জয়নাল আবেদীনকে ৬৭ হাজার ২শ’ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন এবারও তার মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত বলে জানান দলীয় বিশ্বস্ত সূত্র।

এছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন, মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আব্দুর রউফ সর্দার, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অহিদুল হক আসলাম সানি, সহ-সভাপতি এড. এস এ হাদী, বেলাব উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী খান রিপন, ড. রইছ উদ্দিন আহমেদ।

বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী লে. কর্নেল (অব:) জয়নাল আবেদীন, সাবেক এমপি সর্দার সাখাওয়াত হোসেন বকুল ও সাবেক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নেতা সানাউল হক নিরু। জাপার (এরশাদ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) কাজী মাহমুদ হাসান ও সিপিবি’র কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন।

এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৫ হাজার ১৪৮ ও মহিলা ১ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ জন।

নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসন:- আওয়ামী লীগ দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান এমপি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু।

তিনি নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী আলহাজ্ব জামাল আহম্মেদ চৌধুরীকে ৬৫ হাজার ১৭৮ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। তবে তার দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হলেও তিনি রয়েছেন অনেকটা বেকায়দায়।

নরসিংদীর পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন খুন হওয়ার পর অভিযোগের তীর তার ও তার ভাইয়ের দিকে। যদিও মামলার চার্জশিট থেকে মন্ত্রীর ভাইয়ের নাম বাদ পড়েছে।

দলে সন্তোষজনক ভূমিকা রাখতে না পারায় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদটিও হারাতে হয়েছে তাকে। প্রথমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হলেও পরে সরিয়ে নেয়া হয় শ্রম মন্ত্রণালয়ে।

এছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এড. রিয়াজুল কবির কাউসার, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি এস. এম. কাইয়ূম ও ব্যারিস্টার তৌফিক আহম্মেদ।

বিএনপি’র দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আলী মৃধা, ধানমণ্ডি থানা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জামাল আহম্মেদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা একে নেছার উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী রেজাউর রহমান রিপন, সাবেক হুইপ ও কৃষি উপ-মন্ত্রী মাইন উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে রফিকুল আমিন রুহেল ও ব্যারিস্টার শাহাজাদা আলমগীর সোহেল। জাতীয় পাটি থেকে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার এম এ সাত্তার ও ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম। ২৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বৃহত্তর এ আসনে ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫১ জন ভোটার রয়েছ।

 

 

 

রাইজিংবিডি / গাজী হানিফ মাহমুদ / এসএস

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়