নির্বাচনী ব্যয়ে হিলারির চেয়ে অনেক পিছিয়ে ট্রাম্প
রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী ব্যয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে অনেক পিছিয়ে।
জুলাই মাসে ট্রাম্পের প্রচারশিবির নির্বাচন বাবদ ব্যয় দ্বিগুণ করলেও তা হিলারির প্রচারব্যয়ের ধারে কাছেও না। ওই মাসে ট্রাম্প ব্যয় করেন ১৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। যেখানে হিলারির ব্যয় ছিল ৩৮ মিলিয়ন ডলার।
হ্যাট তৈরি করতে ট্রাম্প ব্যয় করেছেন ৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। কিন্তু স্বল্প পরিসরে টেলিভিশন বিজ্ঞাপন শুরু করেছেন আগস্ট মাস থেকে।
এদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমস এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিউ ইয়র্কের ধনকুবের ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্প বর্তমানে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ আছেন।
২০১২ সালে বারাক ওবামা ও মিট রমিনর নির্বাচনী ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেক উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে আছেন।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুন মাসে মাত্র ৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার নির্বাচনী প্রচারে ব্যয় করেন ট্রাম্প। জুলাই মাসে তার দ্বিগুণের বেশি খরচ করেন- ১৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার।
জুলাই মাসে ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন টিম ৩৭ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়, যেখানে একই মাসে হিলারির তহবিল আসে ৫২ মিলিয়ন ডলার।
আগস্ট মাসে ট্রাম্পের প্রচার ব্যয় বহু বাড়বে। গত সপ্তাহে টিভি বিজ্ঞাপনে তারা ঢেলেছেন ৫ মিলিয়ন ডলার। তবে প্রায় দুই মাস আগে থেকে টেলিভিশন বিজ্ঞান শুরু করেছে হিলারির প্রচারশিবির। এ বাবদ তাদের ব্যয় হয়েছে ৬০ মিলিয়ন ডলার।
সম্মানির বিনিময়ে হিলারির হয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন প্রায় ৭০০ জন। একই শর্তে ট্রাম্পের হয়ে এ কাজ করছেন প্রায় ১০ গুণ কম লোক।
নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব থেকে জানা যায়, জুলাই মাসে ট্রাম্পের মোট ব্যয়ের ৪৫ শতাংশ ব্যয় হয়েছে ওয়েব ডিজাইন ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে, যার দায়িত্বে আছে গিলেস-পারস্কেল। ওই মাসে বিমান ভ্রমণ বাবদ কয়েক লাখ ডলার ব্যয় হয়।
হিসাবে ট্রাম্পের প্রচারশিবির দেখিয়েছে, বরখাস্ত হওয়া ক্যাম্পেইন ম্যানেজার কোরি লিওয়ানডস্কির কোম্পানিকে এখনো অর্থ দিচ্ছেন তারা। ২০ হাজার ডলার পেয়েছে কোম্পানিটি।
নির্বাচন প্রচার ব্যয়ের বেশির ভাগ নিজেই নির্বাহ করছেন ট্রাম্প। এ পর্যন্ত ৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের উত্তরাধিকারী হওয়ার দৌড়ে নামার পর ট্রাম্পের ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। তবে কয়েকটি ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করলেও তাকে সাহায্য করে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক অব চায়না এবং গোল্ডম্যান স্যাচস।
নিউ ইয়ক টাইমসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ব্যবসা রহস্যে ঢাকা। এ ছাড়া তিনি আয়কর হিসাব জমা দিতে আগ্রহী নন এবং তার সম্পদের ওপর স্বাধীন অনুসন্ধানও তিনি সমর্থন করছেন না।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ আগস্ট ২০১৬/রাসেল পারভেজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন