ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শস্য বিমার আওতায় আসছেন পাঁচ হাজার কৃষক

তাহের || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ১১ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শস্য বিমার আওতায় আসছেন পাঁচ হাজার কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা হবে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে।

এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের জন্য ক্ষতিপূরণ পাবেন। ফলে উৎপাদনের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত নন-লাইফ বীমাকারী প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশন (এসবিসি) সূত্র জানিয়েছে, জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে নিতে শস্য বীমার আবরণে আনা হচ্ছে দেশের ৩টি জেলা। জেলাগুলো হলো- খরাপ্রবন অঞ্চল রাজশাহী, বন্যাপ্রবন অঞ্চল সিরাজগঞ্জ এবং সাইক্লোনপ্রবন অঞ্চল নোয়াখালী। এসব এলাকাকে প্রকল্প এলাকা হিসেবে নির্বাচন করে ৫ হাজার ৩৯৯ জন কৃষককে শস্য বীমার আওতায় আনা হয়েছে।

প্রতিবছর অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি হ্রাস ও তাদের সামর্থ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে সরকার ও এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ কোটি ৩৪ লাখ ২১ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে সরকার দিয়েছে ৪৯ কোটি ৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ১৬ কোটি ৩৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

জানা গেছে, শস্যবীমা প্রকল্পের টিপিপি অনুমোদন করা হয় ২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। ওই বছরই ২৫ মার্চ গ্রান্ট চুক্তি স্বাক্ষর এবং জুলাই ২০১৩ হতে জুন ২০১৭ পর্যন্ত প্রকল্পের সংশোধিত বাস্তবায়ন দেখানো হয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশনের পক্ষ থেকে।

প্রকল্প এলাকায় এ পর্যন্ত ৪টি পাইলটিং এর মাধ্যমে ৬ হাজার ৭৭২ জন কৃষকের কাছে শস্য বীমা পলিসি ইস্যু করেছে সাধারণ বীমা। অন্যদিকে ৩টি পাইলটিং এর আওতায় ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬৪ টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে।

প্রথম পাইলটিং এর আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে খরা ঝুঁকি আবরিত ২০০ বিঘা জমিতে ১৬৫টি পলিসি ইস্যু করা হয় রাজশাহী জেলার পবা উপজেলায়। অতিবৃষ্টি ও রোগের ঝুঁকি আবরিত পবা ও তানোর উপজেলায় দ্বিতীয় পাইলটিং হিসাবে ৬৩.৫০ বিঘা জমির অনুকূলে পলিসি ইস্যু করা হয় ১৬৭টি।

তৃতীয় পাইলটিং এর আওতায় ৪৮৩৫.৫০ বিঘা জমিতে আমন ধানের ৫ হাজার ৬৭টি, পলিসি ইস্যু করা হয় অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টি বন্যা ঝুঁকি আবরিত রাজশাহী ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চতুর্থ পাইলটিং এর আওতায় বোরো ধানের অনুকূলে ১ হাজার ৩৭৩টি আবহাওয়া সূচক ভিত্তিক শস্য বীমা পলিসি ইস্যু করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত প্রকল্প এলাকায় ৩টি পাইলটিং এর আওতায় ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬৪ টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানায় সাধারণ বীমা।

প্রথম পাইলটিংয়ে বিঘা প্রতি ১০০ টাকা হারে প্রিমিয়াম অর্জিত হয়েছে ২০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি দাবি হিসাবে পরিশোধ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৪০০ টাকা। দ্বিতীয় পাইলটিংয়ে প্রিমিয়াম আদায় হয়েছে ১০০০ টাকা হারে ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে দাবি পরিশোধ করা হয়েছে ৩১ হাজার ৭৫০ টাকা। তৃতীয় পাইলটিংয়ে প্রিমিয়াম আদায় হয়েছে ২৫ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭৯ টাকা ৫০ পয়সা এবং দাবি পরিশোধ করা হয়েছে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৪১৪ টাকা। ৪র্থ পাইলটিংয়ে প্রিমিয়াম অর্জিত হয়েছে ৮ লাখ ৩৫ হাজার ৪৭৫ টাকা।

প্রকল্পের আওতায় ৫৩৮টি এফজিডি এবং ট্রেনিং এর মাধ্যমে ১০ হাজার ২৭ জন কৃষককে এ সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। আবশিষ্ট ১ হাজার ৯৯৩ জনকে এপ্রিল ২০১৭ এর মধ্যে দুর্যোগ সম্পর্কিত বিষয়ে সচেতন করার কাজ চলছে। এ ছাড়া স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠানের ৪০০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ এপ্রিল ২০১৭/এসটি/হাসান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়