ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ফেলুকওয়েকে বর্ণবাদী মন্তব্য করে বিপাকে সরফরাজ ও পাকিস্তান

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২০, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফেলুকওয়েকে বর্ণবাদী মন্তব্য করে বিপাকে সরফরাজ ও পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি দারুণভাবে জিতে নেয় পাকিস্তান। কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ২০৩ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।এই রান তাড়া করতে নেমে প্রথমে সুবিধা করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকাও। ১৪.২ ওভারের মাথায় মাত্র ৮০ রান তুলতেই তারা প্রথম সারির পাঁচজন ব্যাটসম্যানকে হারায়। কিন্তু এরপর দলের হাল ধরেন রাসি ফন ডের ডুসেন ও পেসার আন্দিলে ফেলুকওয়ে। তারা  দুজন ৪২ ওভার পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

কিন্তু ৩৭ ওভারের সময় পাকিস্তানের অধিনায়ক (উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান) সরফরাজ আহমেদ কৃষ্ণবর্ণের ফেলুকওয়েকে উদ্দেশ্য করে বর্ণবাদী মন্তব্য করেন। সেটা ধরা পড়ে স্ট্যাম্পের মাইক্রোফোনে। পাকিস্তান অধিনায়কের এমন মন্তব্যে ক্রিকেট বিশ্বে সমালোচনার ঝড় বইছে। এ সময় বল করছিলেন পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি। ফেলুকওয়ে ইনসাইড এজ হয়ে কোনোরকমে বেঁচে যান। এর আগে রিভিউ নিয়েও বেঁচে যান এই বোলার। সঙ্গত কারণে তার উপর বেশ বিরক্ত ছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।

৮০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ফেলুকওয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিং হতাশ করেছিল সরফরাজকে। তাইতো ইনসাইড এজ হয়ে বেঁচে যাওয়া ফেলুকওয়েকে উদ্দেশ্য করে উর্দুকে সরফরাজ বলেন, ‘আবে কালে, তেরি আম্মি আজ কাহান বেহঠি হ্যান? ক্যায়া পারওয়া কে আয়ে হ্যাঁয় আজ?’ (ওহে কাইল্লা, তোর মা আজ কোথায় বসে আছে? কী দোয়া পড়তে বলে এসেছিল তাকে?’)

তার এমন মন্তব্য স্ট্যাম্পের মাইক্রোফোনে শোনার পর ধারাভাষ্যকার মাইক হাইসম্যান পাকিস্তানের রমিজ রাজাকে হেসে প্রশ্ন করেন, ‘সে কী বলছে রমিজ?’ জবাবে পাকিস্তানি ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা বলেন, ‘অনুবাদ করা কঠিন। এটা খুবই লম্বা ও জটিল বাক্য।’ রমিজ না বললেও সরফরাজের এমন মন্তব্য আড়ালে থাকেনি। ভালোভাসেই সমালোচনার টেবিলে উঠে এসেছে। এখন শাস্তি পাওয়ার অপেক্ষায়।

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বর্ণবাদের বিষয়ে খুবই কঠোর। শেষ পর্যন্ত সরফরাজ আহমেদ তার এমন মন্তব্যের জন্য ৪ থেকে ৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন। তাতে হয়তো পাকিস্তান তাদের অধিনায়ককে পুরো সিরিজের জন্য হারিয়ে বিপাকে পড়তে পারে। তবে পুরো বিষয়টা নির্ভর করছে ম্যাচ অফিসিয়ালদের উপর। তারা যদি সরফরাজের মন্তব্যকে আইসিসির আচরণবিধির মধ্যে ফেলে প্রতিবেদন জমা দেয় তাহলে শাস্তি পেতে হবে। তারা না জমা দিয়ে এই মন্তব্যকে স্বাভাবিকভাবে নিলে হয়তো কিছু হবে না। কিন্তু যেভাবে চারদিকে সমালোচনা হচ্ছে, তাতে শেষ পর্যন্ত কোথাকার জল কোথায় গিয়ে গড়ায় দেখার বিষয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জানুয়ারি ২০১৯/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়