ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘কৃষকদের কাছ থেকেই ন্যায্যমূল্যে সরকারকে ধান কিনতে হবে’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০২, ১৮ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘কৃষকদের কাছ থেকেই ন্যায্যমূল্যে সরকারকে ধান কিনতে হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, ‘মিল মালিক নয়, কৃষকদের কাছ থেকেই উৎপাদিত উদ্বৃত্ত ধান নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে সরকারকে কিনতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় চাল রপ্তানি ভবিষ্যৎ খাদ্য সংকট ঝুঁকি বহন করে। যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।’

কৃষকদের দূরবস্থা নিয়ে শনিবার দুপুরে পার্টি চেয়ারম্যানের বানানী অফিসে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘প্রয়োজনে বেসরকারি মালিকানাধীন গুদামগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে ধান সংরক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানেই ধান সংরক্ষণ করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘বোরো ধান নিয়ে কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। হতাশাগ্রস্ত কৃষকরা বোরো মৌসুমে ধান কাটছে না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগের বরাত দিয়ে প্রচারিত সংবাদে জানা যায়, প্রতি মণ ধান উৎপাদনে কৃষকদের খরচ হয়েছে ৯০৬ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু বাজারে প্রতি মণ ধানের দাম ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকা। আবার ধান কাটতে একজন কৃষি শ্রমিককে তিন বেলা খাবারসহ মজুরি বাবদ খরচ হয় ৬শ’ থেকে ১ হাজার টাকা। এতে কৃষকরা মাঠের ধান কাটতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। ’

‘প্রতি মণ ধান কৃষকের কাছ থেকে যখন বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকায়, ঠিক তখন স্থানীয় বাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১৬শ’ থেকে ২ হাজার টাকায়। কৃষকদের অভিযোগ, মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে আমাদের কৃষি। সরকার ধান ক্রয় করে মিল মালিকদের কাছ থেকে। এতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না।’

সরকারকে আরো সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাপা কো-চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বিদেশে চাল রপ্তানি করতে বিবেচনা করছে। আমরা মনে করি, চাল রপ্তানির পূর্বে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। কারণ, কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে চাল, খাদ্যদ্রব্য প্রয়োজন হলে, দ্রুততার সাথে আমদানি করা সম্ভব নয়। এতে ভয়াবহ খাদ্য সংকটের ঝুকি সৃষ্টি হয়। ’

সংবাদ সম্মেলনে পার্টির মহাসচিব মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, নাজমা আক্তার এমপি, এমরান হোসেন মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, জহিরুল আলম জহির, হাসিবুল ইসলাম জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি, মনিরুল ইসলাম মিলন, মো. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় নেতা আদেলুর রহমান আদেল এমপি, সাজ্জাদ পারভেজ চৌধুরী, রেজাউল রাজী চৌধুরী স্বপন, সোলায়মান সামী, দ্বীন ইসলাম শেখ, জাকির হোসেন মৃধা, আনোয়ার হোসেন তোতা, শেখ মো. ফয়জুল্লাহ শিপন, মো. নুরুজ্জামান, ওলিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ মে ২০১৯/নঈমুদ্দীন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ