ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কায়েসের জানাজা, দাফন মঙ্গলবার

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৩৮, ২০ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কায়েসের জানাজা, দাফন মঙ্গলবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মিজারুল কায়েসের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছায়।

জানাজায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক এবং সাবেক ও বর্তমান রাষ্ট্রদূতরা ছাড়াও তার সহকর্মীরা অংশ নেন।

এ সময় মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা ক্যামপস ডি নোব্রেগা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১২ মার্চ শনিবার রাত ২টায় ব্রাজিলের বাংলাদেশ দূতাবাসে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। ব্রাজিলের প্রথা অনুযায়ী কর্মরত রাষ্ট্রদূতের মৃত্যু হলে সামরিক বাহিনীর সম্মান জানানো হয়। সেই প্রথা অনুযায়ী সে দেশের বিমান ঘাঁটিতে মিজারুল কায়েসের মরদেহকে সামরিক সম্মান জানানো হয়েছে।

আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সব  শ্রেণি-পেশার মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। এরপর তার মরদেহ নেওয়া হবে গুলশান আজাদ মসজিদে।

বাদ জোহর সেখানে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে নিজ গ্রাম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নেওয়া হবে মরদেহ। সেখানে জানাজা শেষে দুপুর ১২টায় কায়েসের মরদেহ আবারও ঢাকায় আনা হবে। তারপর বাদ জোহর বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ শুক্রবার ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মো. মিজারুল কায়েস। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্ট আর কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। প্রায় তিন বছর ধরে মিজারুল কায়েস লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে বাংলাদেশ মিশন সামলাচ্ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৭ জুলাই তাকে দেশটির রাষ্ট্রদূত করে পাঠানো হয়।

মিজারুল ব্রাজিলে যাওয়ার আগে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার ছিলেন। ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর তাকে এই দায়িত্বে পাঠানো হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে পররাষ্ট্রসচিব করা হয়। ২০০৯ সালের ৮ জুলাই থেকে ২০১২ সালের শেষ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।

মিজারুল কায়েস বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে মালদ্বীপ ও রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি টোকিও, সিঙ্গাপুর ও জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্ক, সাউথ ইস্ট এশিয়া, ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স, এক্সটার্নাল পাবলিসিটি ও ইউএনসিএলওএস ডেস্কের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মিজারুল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লিবারেল আর্টস বিভাগ থেকে স্নাতক ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘হার্ভার্ড কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট’ থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মার্চ ২০১৭/সাওন/এসএন/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়