খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের  কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানি হবে বৃহস্পতিবার। একইদিনে মূল আপিলের সঙ্গে সম্পূরক আবেদন  হিসেবে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপরও শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার বিকেলে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি  সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন খালেদা জিয়ার আপিল আদালতে উপস্থাপন করেন।

আদালত বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার এ আপিল আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।

আদালতে এ সময়  খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের  কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ১ হাজার ২২৩ পৃষ্ঠার আপিল দায়ের  করা হয়। আপিল আবেদনে নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৪টি যুক্তি দেখানো  হয়েছে। পাশাপাশি সম্পূরক হিসেবে জামিন চাওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান এ আপিল দায়ের করেন। এর আগ আজ আপিল ও জামিনসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠক করেন খালেদার আইনজীবী প্যানেলের সিনিয়র সদস্যরা।

সোমবার রায় প্রদানকারী বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের স্বাক্ষরের পর ১ হাজার ১৭৮ পৃষ্ঠার এ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/মেহেদী/সাইফুল