ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রিভিউ : রক্ষা পেল ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৩, ১৩ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রিভিউ : রক্ষা পেল ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত ভবন, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়, ১০ জন শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়া ৪৩টি পরিত্যক্ত বাড়ি নিয়ে সাড়ে তিন বছর আগের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী ও রিয়াদ হোসেন।

এ রায়ের ফলে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ রক্ষা পেল বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দপ্রাপ্তদের এই সম্পদ ভোগ করার ক্ষেত্রেও বাধা কাটল।

এর আগে এক রিট আবেদনে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর হাইকোর্ট সরকারের বরাদ্দ বাতিল করে দ্য চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডর অনুকূলে রায় দেন। এই সমিতির সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই রায় দিয়েছিলেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার ও বরাদ্দ পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের করা এক রিভিউ আবেদনে হাইকোর্ট আগের রায় বাতিল করে নতুন করে রায় দিলেন।

জানা যায়, অবাঙালি পাকিস্তানিদের নিয়ে ১৯৫১ সালে দ্য চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর তারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে পাকিস্তানে চলে যায়। এরপর সমিতির সদস্যদের নামে থাকা ৪৩টি বাড়ি সরকার ১৯৮৬ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। এরপর সেসব বাড়ি সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ১০ জন শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়। পরবর্তীতে দ্য চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আ জ ম নাছির উদ্দিন সরকারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিট আবেদনে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের রায়ে সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টরা আপিল বিভাগে যায়। আপিল বিভাগ তাদের আবেদন(২০১৬ সালে করা রিভিউ আবেদন) নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশে হাইকোর্টে রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ আগস্ট ২০১৮/মেহেদী/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়