ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কবিরাজের বিরুদ্ধে অসুস্থ রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ

তানজিমুল হক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১১, ১৬ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কবিরাজের বিরুদ্ধে অসুস্থ রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : চিকিৎসার নামে এক কবিরাজ অসুস্থ এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার রাতে ওই নারীকে (৩০) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

এরপর ঘটনা জানাজানি হয়। নির্যাতিত ওই নারীর বাড়ি উপজেলার দেওলিয়া গ্রামে। তাকে ধর্ষণের পর থেকে অভিযুক্ত কবিরাজ সাইদুর রহমান দেওয়ান (৪৫) পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসিম আহমেদ।

ওসি জানান, রামেক হাসপাতালের ওসিসি থেকে তাকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। ওসিসি থেকে একটি এজাহার থানায় পাঠানোরও প্রস্তুতি চলছে। সেটি থানায় গেলেই মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে। এর পাশাপাশি কবিরাজ সাইদুরকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

ওই গৃহবধূর স্বামীর বরাত দিয়ে ওসি নাসিম জানান, কিছুদিন থেকে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন ওই গৃহবধূ। স্থানীয়দের পরামর্শে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার স্বামী তাকে কবিরাজ সাইদুরের কাছে নিয়ে যান। এ সময় কবিরাজ সাইদুর জানান, ওই নারীর শরীরের পাগলা জ্বিন ভর করেছে। রাতে ‘চিকিৎসার’মাধ্যমে জ্বিন তাড়াতে হবে।

এ সময় কবিরাজ সাইদুর ওই নারীকে বাড়িতে রেখে সবাইকে চলে যেতে বলেন। তার কথামতো ওই নারীর স্বামী তাকে কবিরাজের বাড়িতে রেখে চলে যান। ঘণ্টা দুয়েক পর তিনি গিয়ে দেখেন, তার স্ত্রী আরো অসুস্থ হয়ে গেছেন। এ সময় ওই গৃহবধূ তাকে ধর্ষণের কথা জানান। এ নিয়ে ওই বাড়িতে হট্টগোল শুরু হলে কবিরাজ সাইদুর কৌশলে পালিয়ে যান।

এরপর ওই গৃহবধূকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।

কবিরাজ সাইদুর রহমান দেওয়ান ২০১১ সালের আগস্টে রাহেলা বেগম (৭২) নামে পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক বৃদ্ধাকে চিকিৎসার নামে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রেখেছিলেন। এ নিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয় বাগমারা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়।

এরপর পুলিশ তাকে থানায় ডেকে পাঠায়। সাইদুর আর কবিরাজি করবেন না বলে সেসময় পুলিশের কাছে তওবা করেছিলেন।

 

 

রাইজিংবিডি/রাজশাহী/১৬ এপ্রিল ২০১৭/তানজিমুল হক/রিশিত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়