ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিন বাহিনীতে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিন বাহিনীতে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে যুক্ত করা হচ্ছে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগমের (সংরক্ষিত আসন-৪২) এক প্রশ্নের জবাবে সংসদকার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন।

তিনি বাহিনী নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী। পাশাপাশি তিন বাহিনীতে যেসব আধুনিক সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করেন তিনি।

সেনাবাহিনী নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, আগামী দুই অর্থবছরে সিলেট সেনানিবাসে ১১টি ইউনিট গঠন করা হবে। পরবর্তী তিন অর্থবছরে রামু সেনানিবাসে গঠন করা হবে ১৪টি ইউনিট। ২০২৫ সাল নাগাদ মোট ৫৬টি ইউনিট গঠন করা হবে।

তিনি আরো বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলায় সেনানিবাস স্থাপনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে একটি আরই ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া সেনাবাহিনীতে স্পেশাল ফোর্স গঠনের লক্ষ্যে একটি প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড এবং একটি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া বিওএফের অধীনে চীন থেকে টেকনোলজি ট্রান্সফারের মাধ্যমে এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারির জন্য ভিসোরাদ মিসাইল উৎপাদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

নৌবাহিনীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে নৌবাহিনী পরিচালিত চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেডে (সিডিডিএল) বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ফ্রিগেট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশাল সমুদ্র এলাকায় টহলের জন্য ছয়টি ফ্রিগেট নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সামুদ্রিক নজরদারির জন্য দুটি এমপিএ কেনা প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি দুটি হেলিকপ্টার কেনারও পরিকল্পনা রয়েছে।

মন্ত্রী জানান, নৌবাহিনীর ভবিষ্যত সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আরো দুটি ফ্রিগেট, এমসিএমভি, সাবমেরিন রেসকিউ ভেসেল, লজিস্টিক শিপ, প্যাট্রোল ক্রাফট, ওশান টাগ, ফ্লোটিং ডক ইত্যাদি কেনা পরিকল্পনাধীন রয়েছে।

বিমানবাহিনীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের জন্য বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার, জহুরুল হক, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান এবং অগ্রবর্তী ঘাঁটি কক্সবাজারে চারটি এটিএস রাডার স্কোয়াড্রন স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব রাডার স্কোয়াড্রনের সংস্থাপন প্রস্তাবগুলো ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কক্সবাজার বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে মোতায়েনের জন্য এক স্কোয়াড্রন মাল্টি রোল যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।

মন্ত্রী জানান, ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বরিশালে বিমান বাহিনীর পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটি স্থাপনের জন্য ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিলেটে ঘাঁটি স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরো আধুনিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমান এবং সরঞ্জাম কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।  



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জানুয়ারি ২০১৮/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়