অভিজ্ঞদের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: মৎসখাতে চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে যাদের কমপক্ষে আরো চারবছর চাকরির মেয়াদ রয়েছে তাদেরকেই প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

রোববার সচিবালয়ে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ উপখাতের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৯ মাসের কাজের রিভিউ সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে প্রতিমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।

এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সুবোল বস মনি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি নাথুরাম সরকার, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রকল্প পরিচালকরদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের শতভাগ কাজ ঠিকাদারদের কাছ থেকে আদায় করে নিতে হবে। এজন্য ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে বসে না থেকে ঘনঘন মাঠে যেতে হবে। প্রয়োজনে ওখানে পড়ে থাকতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার উপর জোর দেন। এসময় তিনি প্রকল্পকাজের মেয়াদবৃদ্ধির বিরোধিতা করেন। প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেনতেন রকম রিপোর্ট নয় বরং এডিপি-সভায় কাজের অগ্রগতির বাস্তবসম্মত ফলাফল নিয়ে আসতে হবে। প্রকল্প কাজের যথাযথ মানরক্ষায় তদারকি করতে হবে। প্রকল্পকাজের দায় দায়িত্ব শুধু ঠিকাদারদের উপর নয়, আপনাদেরও নিতে হবে। সভায় অনেক প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত মেয়াদে শেষ হচ্ছে না জানানো হলে প্রকল্প পরিচালকদের উপর ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ শেষের আগেই অভিজ্ঞ পিডিদের অবসরে যাওয়া ঠিক হচ্ছে না। অসময়ে অনভিজ্ঞ নতুন পিডি-নিয়োগে চলমান কাজের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তাই অন্তত চার বছর চাকরির মেয়াদ আছে এমন অভিজ্ঞ অফিসারদেরই পিডি হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে, যাতে তারা সফলভাবে প্রকল্পের সমাপ্তি টানতে পারেন।

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রাণিসম্পদ উপখাতের ২৪টি প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ৩৬৩ কোটি দুই লাখ টাকা মধ্যে জুলাই-২০১৮ থেকে মার্চ-২০১৯ পর্যন্ত ৯ মাসে মোট ব্যয় হয়েছে ১৮৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যার বাস্তবায়নের হার প্রায় ৫১%। বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২২টি প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৪১৭ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ২২২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য যে, মন্ত্রণালয়ের ৩টি সংস্থা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের কাজ করছে। তন্মধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস) ৩৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭টি, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) ২৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬টি এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল (বিভিসি) দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ১টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে। বলাবাহুল্য, জাতীয় গড় অগ্রগতি হার ৪৭.২৪% এর নিচে রয়েছে এমন প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ডিএলএস এর ৯টি, বিএলআরআই এর ২টি এবং বিভিসি এর ১টি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ এপ্রিল ২০১৯/নঈমুদ্দীন/শাহনেওয়াজ