ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

৬৫ দিন সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ, খাদ্য সহায়তার ঘোষণা

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ২২ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৬৫ দিন সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ, খাদ্য সহায়তার ঘোষণা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিবছরের মতো এবারও ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত একটানা ৬৫দিন পর্যন্ত মৎস আহরণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এসময় সামুদ্রিক মাছসমূহের প্রজননকাল হওয়ায় ডিমওয়ালা মাছের নিরাপদ পরিবেশসৃষ্টিসহ মাছের মজুদ সংরক্ষণ, সুষ্ঠু ও বিজ্ঞানসম্মত সহনশীল আহরণ নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় ১২টি জেলাধীন ৪২ উপজেলার ৪১৪৭৮৪টি জেলে পরিবারের মাছ-আহরণ ব্যতিত বিকল্প আয়ের উৎস না থাকায় এবারই প্রথম নিষিদ্ধকালীন ৬৫ দিনের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় পরিবার প্রতি মাসিক ৪০ কেজি করে মোট ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল সহায়তা দেওয়া হবে।  ঈদের আগেই এ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।’

প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ৮ মাস জাটকা নিরোধ এবং ২২ দিন মা-ইলিশ সংরক্ষণের মতো ৬৫দিনের জন্যও ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার ফলে জেলে পরিবারের খাদ্যসংস্থান হওয়ায় তারা সামুদ্রিক ডিমওয়ালা মাছ ও চিংড়ি আহরণ থেকে বিরত থাকবে এবং ডিমওয়ালা মাছ ও চিংড়ির নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, মাছের তিনটি নিষিদ্ধ সময়ের জন্য আগামী ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে মোট ৪২.৭৭ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হওয়ার মাধ্যমেই দেশ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এই উৎপাদনের মধ্যে সামুদ্রিক মৎস্য খাতের অবদান ৬.৫৬ লাখ মেট্রিক টন, যা দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৫.৩৩ শতাংশ।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে ২৫৫টি বানিজ্যিক মৎস্যট্রলার, ৩২,৮৫৯টি যান্ত্রিক ও ৩৪,৮১০টি অযান্ত্রিক ফিশিংবোটের মাধ্যমে নির্বিচারে মৎস্য আহরণের ফলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এজন্যই  ‘সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ ১৯৮৩’ এর অধীনে বিধি ১৯ দ্বারা ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর প্রধান প্রজনন মৌসুমে মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায়  মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ৩২ সহস্রাধিক যান্ত্রিক মৎস্যযান সমুদ্রে মাছধরায় জড়িত থাকলেও এদের মধ্যে মাত্র ৫,৪০০টি মৎস্যযান বৈধ বা নিবন্ধিত থাকায় অবৈধ নৌযানের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছ উল আলম মণ্ডল বলেন, ‘মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. ইয়াহিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মে ২০১৯/নঈমুদ্দীন/ইভা 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়