ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

পূর্বাচল সিটিতে ব্যবহৃত হবে উপরিভাগের পানি

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ২২ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পূর্বাচল সিটিতে ব্যবহৃত হবে উপরিভাগের পানি

বিশেষ প্রতিবেদক : পূর্বাচল সিটিতে সার্ফেস ওয়াটার তথা মাটির উপরিভাগের পানি সরবরাহ করতে চায় সরকার। এজন্য এ সংক্রান্ত একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের পূর্বাচল সিটি হচ্ছে। এ সিটিতে মেঘনা নদী থেকে পানি আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যে পর্যন্ত মেঘনা থেকে পানি না আসবে সে পর্যন্ত আমরা সার্ফেস ওয়াটার তথা মাটির উপরিভাগের পানির ব্যবস্থা করব। কারণ ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করলে অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

এ প্রকল্পটি পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কাজ চলছে। পূর্বাচল হবে দেশের প্রথম স্মার্ট সিটি। এখানে আবাসিক প্লট ছাড়াও ২৫০ একর জমিতে সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ একর জমিতে একটি আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ করা হবে।

সরকার জনগণের আবাসন সমস্যার সমাধানে রাজউকের আবাসিক এলাকায় অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প গ্রহণ করেছে। উত্তরা, পূর্বাচল ও ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় মোট প্রায় ১ লাখ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরে রাজউকের নিজস্ব অর্থে ১৭৯টি ভবনে মোট ১৫ হাজার ৩৬টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে ৭৯টি ভবনে ৬ হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ফ্ল্যাট অত্যন্ত কম মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি বর্গফুটের মূল্য পুনঃনির্ধারণ করে ৪,৫০০ টাকা করা হয়েছে।

এ ছাড়াও, ফ্ল্যাট কেনার জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করছে। সাড়ে আট শতাংশ সুদে এ ঋণ ২৫ বছরে পরিশোধ করা যাবে। এখানে ৪৫ শতাংশ জায়গা সবুজ বেস্টনী, স্কুল, খেলার মাঠ, মসজিদ, শপিংমল ইত্যাদি রাখা হচ্ছে। এ ছাড়াও, বেসমেন্ট ও নিচতলায় গড়ি পার্কিং ও দৃষ্টিনন্দন লেক থাকবে এ প্রকল্প এলাকায়। এখানে অবশিষ্ট ১০০টি ভবন নির্মাণ করবে মালয়েশিয়া সরকার।

এ ছাড়া, বুধবারের বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপনে একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মে ২০১৯/হাসনাত/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়