ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে সেবার চেয়ে বাণিজ্যিকীকরণ প্রকট

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে সেবার চেয়ে বাণিজ্যিকীকরণ প্রকট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে সেবার চেয়ে বাণিজ্যিকীকরণের প্রবণতা প্রকট। কোনো আইন না থাকা ও সরকারের উদাসীনতায় দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে সরকার ব্যর্থ বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে ‘বেসরকারি চিকিৎসাসেবা : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, বেসরকারি চিকিৎসাসেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত হওয়া স্বত্ত্বেও এখানে নেই সরকারের যথাযথ মনোযোগ। আইন প্রণয়নে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। অংশীজনের কাছ থেকে আইন প্রণয়নে সাড়াও মিলছে না। স্বার্থের দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবের কারণে এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রণয়ন হয়নি আইন। আর আইন না থাকায় গড়ে উঠেনি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো। পরিদর্শন ও তদারকিতে রয়েছে ঘাটতি।

তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থার কারণে ব্যক্তি মালিকানাধীন এসব প্রতিষ্ঠানে সেবাগ্রহীতারা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে, বিধি-বহির্ভূতভাবে সুযোগ-সুবিধা আদায়ের পথ তৈরি হয়েছে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে সক্ষমতা ঘাটতি ও অনিয়মের প্রবণতা বিশেষ লক্ষ্যণীয়। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয়টি হচ্ছে এ খাতে সেবার চেয়ে বাণিজ্যিকীকরণের প্রবণতা প্রকট।

‘বেসরকারি চিকিৎসাসেবা : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরিতে কাজ করেন টিআইবির প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাসলিমা আক্তার ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. জুলকার নাইন।

ঢাকার ২৬টি ও ঢাকার বাইরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ব্যক্তি মালিকানাধীন ৯০টি নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের ওপর ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ গবেষণা পরিচালিত হয়। আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, সেবা কার্যক্রম, নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়।

সংস্থাটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাত মুনাফাকেন্দ্রীক সেবা কার্যক্রম, কমিশনভিত্তিক সেবা ব্যবস্থা, গুণগত মানের চেয়ে সংখ্যাগত বিস্তৃতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সার্বিকভাবে এই খাতে সাধারণ সেবাগ্রহীতারা এক রকম জিম্মিদশার মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে ব্যাপকভাবে আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে, মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবো নিশ্চিত হচ্ছে না।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়