ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সাফ ফুটবল ফাইনাল

ভারতের অষ্টম নাকি মালদ্বীপের দ্বিতীয়?

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভারতের অষ্টম নাকি মালদ্বীপের দ্বিতীয়?

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বিদায়ের সুর ফুটবল পাড়ায়। আর মাত্র একটি ম্যাচ। এরপরই পর্দা নামবে দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বাদশ আসরের।

সাফে অংশ নেওয়া সাতটি দলের তিনটি দল ইতিমধ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছে। মর্যাদার লড়াইয়ে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়ে টিকে আছে দুটি দল। দল দুটি হল, সাফের সবচেয়ে সফল দল ভারত ও তাদের পর দ্বিতীয় সফল দল মালদ্বীপ।

আগের ১১ আসরে ১০ বারই ফাইনালে উঠেছে ভারত। তার মধ্যে শিরোপা জিতেছে ৭ বার। তিনবার হয়েছে রানার্স-আপ। অন্যদিকে মালদ্বীপ আগের ১১ আসরের মধ্যে ফাইনালে উঠেছে চারবার। তার মধ্যে শিরোপা জিতেছে একবার, ২০০৮ সালে। আর রানার্স-আপ হয়েছে তিনবার। সবশেষ তারা ফাইনালে উঠেছিল ২০০৯ সালে। নয় বছর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আবার উঠেছে তারা।

গ্রুপপর্বে মালদ্বীপ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ড্র করে। এরপর ভারতের কাছে হেরে যায় ২-০ ব্যবধানে। ১ পয়েন্ট নিয়েও টস ভাগ্যে তারা সেমিফাইনালের টিকিট পায়। তবে মালদ্বীপ তাদের খেলাটা তুলে রেখেছিল সেমিফাইনালের জন্য। সেমিতে সবচেয়ে ভারসম্যপূর্ণ দল নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দেয় তারা। ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে নাম লিখিয়েছে। এবার পারবে তো দ্বিতীয় শিরোপাটি ঘরে তুলতে?



ফাইনাল পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মালদ্বীপের কোচ পিটার সিগ্রেট বলেন,‘গ্রুপ পর্বটা আমাদের ভালো হয়নি। তবে এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ছেলেরা অনেক পরিশ্রম করেছে। কাতারে অনুশীলন করেছে। সেটার ফলই তারা পেয়েছে এবং নয় বছর পর ফাইনালে উঠেছে। ভারত অবশ্যই শক্তিশালী দল। তাদের জন্যসংখ্যা অনেক। তারা অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় পায়। তবে মাঠে কিন্তু লড়াই হবে দুই দলের এগারো এগারো বাইশজনের মধ্যে। আশা করছি অন্যরকম একটা ম্যাচ হবে। ছেলেরা শিরোপা জেতার জন্যই মাঠে নামবে।’

ভারত অবশ্য এই টুর্নামেন্টে তাদের জাতীয় দল পাঠায়নি। তারা পাঠিয়েছে অনূর্ধ্ব-২৩ দল। তবে ভারতের কোচ স্টিফেন ফিলিপ কন্সটানটাইন মনে করছেন যোগ্য দল হিসেবেই তার শিষ্যরা ফাইনালে উঠেছে, ‘ছেলেরা ভালো খেলেই ফাইনালে উঠেছে। যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে তারা। মালদ্বীকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তারা নেপালের বিপক্ষে দারুণ খেলে ফাইনালে এসেছে। তাদের প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ সমীহ আছে। আসলে এই টিমটা এশিয়ান গেমসে খেলেছে। তাদের বাজিয়ে দেখতেই সাফে পাঠানো হয়েছে। ফাইনালে আমরা রক্ষণভাগের খেলোয়াড় লালিয়ানজুয়ালাকে পাব না। আগের ম্যাচে সে লাল কার্ড দেখেছে। তার আসলে ওরকম অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করা ঠিক হয়নি। তাকে মিস করব।’



ভারতের অধিনায়ক শুভাশিষ বোস ভাবেননি যে তারা ফাইনালে উঠতে পারবেন। ফাইনালে যেহেতু এসেছেন সুতরাং শিরোপা জেতার জন্যই খেলবেন, ‘আমরা ভাবিনি যে ফাইনালে উঠতে পারব। ভালো প্রস্তুতি ছিল। ভালো খেলে ফাইনালে এসেছি। জেতার জন্যই কালকে মাঠে নামব। সেমিফাইনালে অনেক দর্শক আমাদের খেলা দেখতে মাঠে এসেছিল। দেশের বাইরে খেলতে এসেছি, সেখানেও আমাদের সমর্থক আছে। বিষয়টা বেশ ভালো লেগেছে। আশা করব আগামীকালও দর্শকরা আমাদের সমর্থন দিতে মাঠে আসবে।’

ভারতের বিপক্ষে মালদ্বীপের ফুটবল দ্বৈরথ নতুন কিছু নয়। তবে ১৯৮৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দল দুটি ১৮ বার মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে ভারত জিতেছে ১৩ বার। মালদ্বীপ জিতেছে ৩ বার। ২টি ম্যাচ হয়েছে ড্র। সাফে ভারতের বিপক্ষে মালদ্বীপের পরিসংখ্যান সুখকর নয়। ২০১৩ ও ২০১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও দেখা হয়েছিল দল দুটির। দুটোতেই জিতেছে ভারত। ২০১৩ সালে তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে মালদ্বীপকে। আর ২০১৫ সালে ভারতের সঙ্গে লড়াই করেছে মালদ্বীপ। শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে ৩-২ ব্যবধানে।

তবে দ্বাদশ আসরে নেপালের বিপক্ষে যে লড়াকু মালদ্বীপকে দেখা গেছে ফাইনালে সেই মালদ্বীপ হয়ে উঠতে পারলে ভারতের বিপক্ষে ইতিবাচক ফল পেতে পারে সিগ্রেটের শিষ্যরা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়