ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

চবির দুই হলে তল্লাশি : বেশ কয়েকজন আটক

জোবায়ের চৌধুরী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চবির দুই হলে তল্লাশি : বেশ কয়েকজন আটক

তল্লাশির সময় হলের সামনে অবস্থান নেওয়া পুলিশ সদস্যরা

চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যলয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত দুটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

তল্লাশি অভিযানে অস্ত্রসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে আটকের সংখ্যা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দিতে রাজি হননি কেউই।

 

শুক্রবার দুপুর ১টা ৪০মিনিটে শুরু হওয়া অভিযান চলে প্রায় বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ তল্লাশি অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছেন।

 

অভিযান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি সবসময়ই আমাদের অনুকূলে থাকে। আবাসিক হলে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহআমানত হলে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে বেশকিছু কক্ষের তালা ভেঙে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’

 

তবে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের পরিমাণ ও আটকের সংখ্যা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দিতে রাজি হননি কেউই। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের ছবিও সাংবাদিকদের তুলতে দেওয়া হয়নি।

 

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘দুই হল থেকে অন্তত ৩৯ ছত্রলীগ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এদের থানায় নিয়ে যাচাইবাছাই করে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। অভিযানে রামদা, লাঠিসোঁটা, ইট-পাথরসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’

 

হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর রাইজিংবিডিকে জানান, ‘দুই হল থেকে বেশকিছু শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আটকের সংখ্যা এখন বলা যাচ্ছে না। থানায় গিয়ে নাম এন্ট্রি করানোর পর বলা যাবে।’

 

তবে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোকাদ্দেস হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘শাহআমানত হল থেকে ১২ জনের মত আটক করা হয়েছে। শাহজালাল হল থেকে কত হয়েছে তা আমি জানি না। এটা পরে জানা যাবে।’

 

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শাটল ট্রেনে কথা কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারীরা। ওই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহতে হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই সংঘর্ষের জেরে আজ শুরুবার বেলা পৌনে ১২টা থেকে আবারও সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে বিবদমান দুটি পক্ষ। 

 

সভাপতি টিপু নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটির মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এবং সাধারণ সম্পাদক সুজন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রাক্তন সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

 

রাইজিংবিডি/চবি/৯ নভেম্বর ২০১৬/জোবায়ের চৌধুরী/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়