ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব’

এনএ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ২৩ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব’

রাইজিংবিডি ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদানের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা তাঁর সরকারের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিশেষ অবদান রয়েছে। বিশেষ করে এক্ষেত্রে শ্রমিকদের অবদান অনেক বেশি। এজন্য তাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি দেখা আমাদের দায়িত্ব।
মঙ্গলবার ব্রুনেইয়ের রাজধানীর জালান কেবাংসান কূটনৈতিক জোনে চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ভাষণকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মাহমুদ হোসেইন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

প্রবাসীরা তাদের অবস্থানকারী দেশগুলোর অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা বেশি এমন সব দেশে নিজস্ব মিশন নির্মাণের ওপর অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। তবে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি দেশে বাংলাদেশের নিজস্ব মিশন ভবন নির্মিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সংখ্যা বেশি এমন দেশগুলোতে তাদের ছেলে-মেয়েদের যথাযথ শিক্ষার জন্য অন্তত একটি করে বাংলাদেশি স্কুল প্রতিষ্ঠার নির্দেশ ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালে বাংলাদেশ মিশনের জন্য কিছু ভবন কিনেছিলেন। কিন্তু তাঁর হত্যাকান্ডের পর এ ব্যাপারে আর কেউ কোন উদ্যোগ নেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশে নিজস্ব মিশন তৈরির উদ্যোগ নেয়। আমরাও বিভিন্ন দেশে নিজস্ব মিশন ভবন তৈরির জন্য জমি কিনি। ব্রুনেইয়ে বাংলাদেশের চ্যান্সেরি ভবনের স্থাপত্য নকশার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় আবহাওয়া, পরিবেশ ও অবকাঠামোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ভবন নির্মাণে গুরুত্বারোপ করেন।

মিশন ভবনের সুন্দর নকশা তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী এর স্থপতি রোজাইন মেরি যান্তি ও তার টিমকে ধন্যবাদ জানান। রোজাইন মেরি একজন আইন প্রণেতা এবং তিনি কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই চ্যান্সেরি ভবনের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক সেবা পাবেন এবং যা তাদেরকে এ দেশে স্বচ্ছন্দে চলাফেরায় সহায়তা করবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ১৮ মাসে নির্মীয়মান এই ভবনটি উদ্বোধনে তিনি আবারো ব্রুনেই সফর করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার একটার পর একটা বাংলাদেশ মিশন নির্মাণ করছে। ইতালিতে বাংলাদেশ চ্যান্সেরি ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবনটি উদ্বোধনের জন্য তিনি ইতালী সফর করবেন।

ব্রুনেইকে একটি সুন্দর দেশ হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রুনেইয়ের মতো এখনো আরো অনেক সুন্দর স্থান রয়েছে, যার খোঁজ এখনো বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা পায়নি। এই স্থানগুলো আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন গন্তব্য হতে পারে।

পরে তিনি রয়েল রেজালিয়া মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন।

তথ্যসূত্র : বাসস




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ এপ্রিল ২০১৯/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়