ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে বেঁচে আছি : সফিউল্লাহ

হাসান উল রাকিব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ৩১ আগস্ট ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে বেঁচে আছি : সফিউল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক নারায়ণগঞ্জ : সাবেক সেনা প্রধান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে না পারার ব্যর্থতা নিয়েই বেঁচে আছি।

 

সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

 

জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের ঢাকা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম প্রমুখ।

 

কে এম সফিউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার ফোনে শেষ কথা হয় ভোর পাঁচটা পঞ্চান্ন মিনিটে। একপর্যায়ে ফোনেই আমি গুলির আওয়াজ পাই। সম্ভবত সে সময়েই ঘাতকরা তাকে হত্যা করে।

 

তিনি বলেন, লে. কর্নেল সালাউদ্দিন আমার বাসায় এসে সকালে জানায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। তখন আমি সালাউদ্দিনের মাধ্যমে জিয়া এবং খালেদ মোশাররফকে বাসায় ডেকে আনি। এ সময় জিয়া ড্রেস পরা ছিল। খালেদ মোশাররফ নাইট ড্রেস পরা ছিল। আমি জানতে পারি কর্নেল শাফায়াতের ব্রিগেড এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তাই শাফায়াত জামিলকে তার ব্রিগেড ফেরত আনার নির্দেশ দিলে জিয়া আমাকে বাধা দেয়। পরে আমি অফিসে এসে নিশ্চিত হই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে।

 

সাবেক এ সেনাপ্রধান বলেন, এ সময় আমার সামনেই মেজর জেনারেল জিয়া ও ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ উপস্থিত ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যাংক ও গাড়ির বহর নিয়ে আমার অফিস ঘেরাও করা হয়। পরে ট্যাংকের মধ্যে অস্ত্র সরবরাহ করে খালেদ মোশাররফ।

 

সফিউল্লাহ বলেন, মেজর ডালিমের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাকে রেডিওতে যেতে বাধ্য করে। সেখানে খোন্দকার মোশতাক উপস্থিত ছিলেন। দেশকে গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষা করার জন্যই আমি রেডিওতে মোশতাকের লিখিত বক্তব্য পড়তে বাধ্য হই। পরে আমাকেসহ বিমান এবং নৌবাহিনীর প্রধানকে বঙ্গভবনে চার দিন আটকে রাখা হয়। জেনারেল ওসমানী আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন দেশকে সিভিল ওয়ার থেকে রক্ষা করার জন্য।

 

তিনি আরো বলেন, ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের সময় তৎকালীন সেনা গোয়েন্দা বিভাগ সেনাপ্রধানের নিয়ন্ত্রণে নয়, সরাসরি রাষ্ট্রপতি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের খবর জানার পরপরই আমি ৪৬ ব্রিগেডকে নির্দেশ দিয়েছিলাম মুভ করার জন্য। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়।

 

 

 

রাইজিংবিডি/নারায়ণগঞ্জ/৩১ আগস্ট ২০১৫/হাসান উল রাকিব/রহমান

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়