ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আ.লীগ উপকমিটির সহসম্পাদকে প্রাধান্য পাবে তরুণরা

এনআর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আ.লীগ উপকমিটির সহসম্পাদকে প্রাধান্য পাবে তরুণরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী উপকমিটির সহসম্পাদক পদে অপেক্ষাকৃত তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

 

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপকমিটির একটি খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করেছেন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে কমিটি অনুমোদন হতে পারে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে গত ১৪ নভেম্বর উপকমিটির সহসম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) আহ্বান করা হয়েছিল। ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলে এ সিভি সংগ্রহ।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সহসম্পাদক পদে ৯৫ জনের খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করেছেন। এতে ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বদের সহসম্পাদক পদের তালিকায় রাখা হয়নি। দলীয় সভানেত্রী তালিকা দেখে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

 

সূত্র আরও জানান, সাধারণ সম্পাদকের খসড়া তালিকায় আওয়ামী লীগ বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান না পাওয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কয়েকজন প্রাক্তন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদেরও রাখা হয়নি। কমিটির গতি সঞ্চারণে প্রত্যেক সম্পাদকীয় পদের প্রতিটি উপকমিটিতে একজন করে সংসদ সদস্য অন্তর্ভূক্ত করারও পরিকল্পনা করেছে দলটি।

 

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিভাগভিত্তিক সম্পাদকীয় পদের সহযোগী হিসেবে ১৯টি সম্পাদকীয় পদে পাঁচজন করে প্রায় ১০০ সহসম্পাদক থাকার বিধান রয়েছে। কিন্তু সদ্যবিলুপ্ত কমিটিতে সে সংখ্যা ছিল কয়েকশ। এই বিপুলসংখ্যক সহসম্পাদকের সংখ্যা নিয়ে দলের মধ্যেই সমালোচনা ও আলোচনা ছিল।

 

দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রত্যেকটি বিভাগভিত্তিক সম্পাদকীয় পদের সহযোগী পাঁচজন করে সহসম্পাদক থাকার নিয়ম থাকলেও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদগুলো বিভাগভিত্তিক নয়। তাই এ পদগুলোর বিপরীতে কোনো সহসম্পাদক থাকবে না। এক্ষেত্রে একটি সম্পাদকীয় পদে পাঁচজন করে হলে মোট ৯৫ জন সহসম্পাদক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু গত কমিটিতে গঠনতন্ত্রের নিয়ম ভঙ্গ করে প্রায় ১০০ সহসম্পাদক পদের বিপরীতে কয়েকশ নেতাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল।

 

এ ব্যাপারে চলতি বছরের শুরুর দিকে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টি অফিসের সামনে যার সঙ্গে ধাক্কা লাগে তিনিই বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক। কিন্তু তারা যে উপকমিটির সহসম্পাদক এটা বলেন না। এই সহসম্পাদকের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে অনেকে নিজ জেলায় অনেক হুমকি-ধামকিও মারে। তাই আগামী সম্মেলনে সহসম্পাদকের সংখ্যা একশর মধ্যে কমিয়ে আনা হবে। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে গত ২৬ অক্টোবর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর প্রথম বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি দলের গঠনতন্ত্রে কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদকের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০০ করার যে বিধান রয়েছে, আমরা তার বাইরে যাব না। এই কমিটির সদস্য সংখ্যা একশর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ডিসেম্বর ২০১৬/এনআর/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ