ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মোটুমামা ও খুদে গোয়েন্দাবাহিনী

দীপু মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মোটুমামা ও খুদে গোয়েন্দাবাহিনী

অলংকরণ : অপূর্ব খন্দকার

|| দীপু মাহমুদ ||

ঝাঁঝালো দুপুর। গরমের তীব্র ঝাঁজ আসছে। হলকা বাতাসে মনে হচ্ছে গায়ের চামড়া পুড়ে যাবে। মোটুমামার মেজাজ খারাপ। খুব বেশি খারাপ। সে খালি গায়ে বসে আছে। তার হাতে খবরের কাগজ। সেটাকে হাতপাখা বানিয়ে নিজের গায়ে বাতাস দিচ্ছে। মাথার উপর সবুজ সিলিং ফ্যান ঘুরছে। তাতে ঘটাং ঘটাং টাইপের বিদঘুটে শব্দ হচ্ছে। বাতাস হচ্ছে না। মোটুমামার মনে হলো ফ্যান ঘুরছে উলটো দিকে। সে আছে জটিল ভাবনার ভেতর। নতুন রহস্যের সন্ধান পেয়েছে। কে বা কারা তাদের অ্যাপার্টমেন্টের মোক্তাদির সাহেবের পোষা কুকুরকে হত্যা করেছে। কুকুর মরে পড়ে আছে গ্যারেজে। তার থাকার কথা ঘরে।
মোটুমামার গা দিয়ে দরদর করে ঘাম ঝরছে। টপ টপ করে সেই ঘাম পড়ছে ঘরের মেঝেতে। ঘাম পড়ছে বড় বড় ফোটায়।

মোটুমামার ওজন ১১০ কেজি। নিজেকে সে সেঞ্চুরিয়ান বলতে ভালোবাসে। নিজের ভাগ্নে, ভাগ্নিসহ পাড়ার সব ছেলেমেয়ে তাকে ‘মোটুমামা’ বলে ডাকে।
পোতা এসে দাঁড়িয়ে আছে দরজার কাছে। মোটুমামাকে এখন কিছু বলা ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছে না। মোটুমামা বলেছে, ‘আমি যখন চুপ করে থাকব তখন বুঝবি জটিল কিছু নিয়ে ভাবছি। আমার সাথে কথা বলবি না। তাতে আমার চিন্তার সুতো ছিঁড়ে যায়। আমি বিরক্ত হই।’
মোটুমামা চুপ করে আছে। তার মানে সে জটিল কিছু ভাবছে। তাকে বিরক্ত করা যাবে না। পোতা ঘরে ঢুকল না। দরজার কাছ থেকে চলে গেল।

পোতার নাম আসলে মোহাম্মদ আফনান। সে বিরাট জ্ঞানী ছেলে। দুনিয়ার সব বিষয়ে তার অতল জ্ঞান। মোটুমামা বলে জ্ঞানের জাহাজ। আফনান বলেছে, ‘আমাকে জ্ঞানের জাহাজ বলা ঠিক হচ্ছে না। তাতে আমার জ্ঞানকে খাটো করে দেখা হচ্ছে। এতে আমি অপমানিত বোধ করছি।’
মোটুমামা বলল, ‘তাহলে তোমাকে কী বলতে হবে?’
আফনান বলল, ‘আমাকে বলবে জ্ঞানের পোতাশ্রয়। মানে যেখানে জ্ঞানের জাহাজগুলো এসে ভেড়ে। মানে বন্দর।’
পোতাশ্রয়কে সংক্ষেপ করে আফনানের নাম হয়ে গেল পোতা। সে তাতে কোনো আপত্তি করেনি।
পোতার যমজ ভাইয়ের নাম মোতা। মোহাম্মদ তারেকের সংক্ষিপ্ত রূপ। ছোট বোনের নাম লতা। মায়মুনা লায়লা লতা।

কলেজ পরীক্ষায় পাশ করার পর বিএ ক্লাসে ভর্তি হয়ে মোটুমামা বদলে গেল। তার মনে হলো এইসব লেখাপড়ার কোনো মানে নেই। পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে কিছু হয় না। মানুষের দরকার বাস্তব জ্ঞান। মানে প্রাকটিক্যাল নলেজ।
মোটুমামা পড়াশোনা ছেড়ে দিল। সে কিছুদিন রেল ইস্টিশানের বস্তিতে গিয়ে থাকার চেষ্টা করেছিল। ইচ্ছে ছিল ভিক্ষে করে জীবন কাটানো। ভিক্ষাবৃত্তিতে মোটুমামা ঠিক সুবিধা করতে পারল না। পুরানো ভিক্ষুকরা তাকে জায়গা দিল না। মোটুমামা তখন রিকশা চালানো শুরু করেছে।
একদিন কাঁচা বাজারে রিকশা নিয়ে আপা আর দুলাভাইয়ের সামনে পড়ে গেল। দুলাভাই তাকে কান ধরে বাড়িতে নিয়ে এসে আটকে রেখেছেন।

তারপর থেকে সে তার একমাত্র বোনের বাড়িতে থাকে। তিন ভাগ্নে-ভাগ্নি আর পাড়ার কয়েকজন ছেলেমেয়ে নিয়ে গোয়েন্দাবাহিনী বানিয়েছে। এই গোয়েন্দাবহিনীর সদস্য সংখ্যা অনেক। তবে মোটুমামা ছাড়া সকলেই বয়সে ছোট। তাই ওরা নাম দিয়েছে খুদে গোয়েন্দাবাহিনী।
এখন পর্যন্ত একটা কেসও পাওয়া যায়নি। সেটা নিয়ে মোটুমামার কোনো হতাশা নেই। সে জানে একদিন ঠিকই তার গোয়েন্দাবাহিনী দেশে-বিদেশে বিরাট নাম করবে।
মোটুমামা এখন কুকুর হত্যার কেস নিয়ে ভাবছে। যদিও মোক্তাদির সাহেব তাকে কিছু বলেননি। তবু মোটুমামা নিজে থেকে এই কেস সলভ করতে চায়। সবাই যখন ঘটনা জানবে তখন তাজ্জব হয়ে যাবে। মোটুমামা দেবে সারপ্রাইজ।

হাতে ধরা খবরের কাগজ দিয়ে মোটুমামা জোরে জোরে নিজেকে বাতাস করছে। সে কুকুর হত্যা রহস্যের কোনো কুল কিনারা করতে পারছে না।
মোতা এসে দাঁড়িয়েছে সামনে। আজ ছুটির দিন। সকলেই বাসায়। কারও ইশকুল নেই। অফিস নেই। মোতা বলল,  ‘তোমার হাতে কি আজকের পেপার?’
মোটুমামা খ্যাকখ্যাক করে বলল, ‘চুপ। একদম চুপ। আমি কি পেপারের তারিখ দেখে বাতাস খাচ্ছি? বাসি পেপারে বাতাস কম হয়?’
মোতাকে মোটেই বিচলিত মনে হলো না। সে মোটুমামার খ্যাটরম্যাটর স্বভাবের সাথে পরিচিত। মোতা শীতল গলায় বলল, ‘বাবা আজকের পেপার খুঁজছেন।’
মোটুমামা বললেন, ‘কেন তিনি সকালে পেপার পড়েননি?’
মোতা বলল,  ‘সেই কথা তুমি গিয়ে বাবাকে জিগ্যেস করো।’
মোটুমামা আর কিছু বলল না। হাতের খবরের কাগজ মোতার দিকে এগিয়ে দিল। তার মেজাজ খিচখিচ করছে। শার্লক হোমস, ব্যোমকেশ, ফেলুদা, কাকাবাবু সকলেই জটিল রহস্য নিয়ে ভাবার সময় মাথা ঠান্ডা রাখতেন। তার মেজাজ ঠান্ডা রাখা দরকার। মেজাজ ঠান্ডা থাকছে না।

কুকুর কেন নিচে গিয়ে গ্যারেজে মরে পড়ে থাকবে! ব্যাপারটা মোটুমামা কিছুতেই মেলাতে পারছে না। কেস আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে। তার মাথায় কিছু আসছে না। তাকে অসহায় দেখাচ্ছে। মোটুমামার মনে হলো গ্যারেজে তো কোনো সেট-আপ নেই। ফাঁকা জায়গায় থরে থরে গাড়ি সাজানো। সব একরকম।
কুকুর মরে পড়ে থাকবে ঘরের ভেতর। মোটুমামা সেখানে যাবে ধীরেসুস্থে। ঘরের ভেতর কী কী আছে সেগুলো ভালো করে দেখবে। খাতায় নোট নেবে। সে ব্যবহার করবে তিন রঙের পেন্সিল। লাল, নীল আর সবুজ। এক এক রঙের এক এক গুরুত্ব। মোটুমামা দেখবে ঘরের ভেতর একপাশে বিছানা পাতা, মাঝখানে রিডিং টেবিল আর চেয়ার। এই পর্যন্ত ভেবে তার মেজাজ আবার খারাপ হয়ে গেল। কুকুরের ঘরে নিশ্চয় রিডিং টেবিল থাকবে না। সে নিজের উপর মহাবিরক্ত হয়েছে। আবার গোড়া থেকে নতুন করে ভাবতে বসল।
পোতা এসে বলল, ‘চলো নিচে যাই। অ্যাপার্টমেন্টের সবাই ওখানে।’

মোটুমামা বুঝতে পারল তার ডাক পড়েছে। তাকেই এখন কুকুর হত্যা রহস্যের সমাধান করতে হবে। আর সেটা করতে হবে খুব দ্রুত।
মোটুমামা নিজের আনন্দ চেপে রেখে গদগদ গলায় বলল, ‘মুক্তাদির সাহেব খবর পাঠিয়েছেন?’
পোতা বলল, ‘কুকুর-চোর ধরা পড়েছে। গবেট এক লোক কুকুর চুরি করে পালাচ্ছিল। গ্যারেজের ওখানে যেতেই কুকুর তাকে কামড়ে দিয়েছে। ঝাপটাঝাপটি করতে গিয়ে শ্বাস আটকে কুকুর মরে গেছে। মোক্তাদির আঙ্কেলের ড্রাইভার গিয়ে চোর ধরে এনেছে।’
বাতাস বেরুনো বেলুনের মতো মোটুমামা ফুস করে চুপসে গেল। বিড়বিড় করে বলল, ‘এই কেসটাও গেল।’
মোতা এসে বলল, ‘মামা পেপার পড়েছ? বাবা হেব্বি ক্ষেপেছে। মাত্র ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে। মা তাতে লাইক দিয়ে কমেন্ট করেছে।’
মোটুমামা বলল, ‘বেশি উড়াধুড়া কথা না বলে কী হয়েছে টু দ্যা পয়েন্টে বল।’
মোতা বলল, ‘বসন্ত উৎসবে নন্দনকাননে বিরাট ঝামেলা হয়েছে। কয়েকজন লোক সেখানে ধাক্কাধাক্কি করে বাচ্চা আর মেয়েদের চিড়েচ্যাপ্টা বানিয়ে ফেলেছে। পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। ধরবে কী করে? জানেই না কারা ধাক্কাধাক্কি করেছে।’

পোতা বলল, ‘পুলিশ সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে ক্রিমিনাল আইডেন্টিফাই করবে। এ তো ইজি ম্যাটার।’
মোতা বলল, ‘যেখানে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে সিসিটিভির ক্যামেরা সেই পর্যন্ত কভার করতে পারেনি। তাইতো বাবা রেগে কাঁই হয়ে গেছেন।’
মোটুমামা বলল, ‘ইউরেকা।’ চেয়ারের হাতলে ঘুষি দিয়ে লাফিয়ে উঠতে গিয়েছিল, উঠতে পারল না। চেয়ারের দুপাশের হাতলে শরীর আটকে গেল।
পোতা আর মোতা একসাথে বলল, ‘কী হয়েছে?’
মোটুমামার চিৎকার শুনে লতা ছুটে এসে ভ্যাঁ করে কান্না শুরু করেছে। মোটুমামা বলল, ‘এই ঘটনা আবার ঘটবে। সামনে বর্ষবরণের দিনে হাজার হাজার মানুষ এক জায়গায় হবে। তখন একদল মানুষ এসে ধাক্কাধাক্কি করবে। তারা বাচ্চাদের আর মেয়েদের পায়ের নিচে পিষে সিডি বানিয়ে ফেলবে।’
মোটুমামার গলা শোনাচ্ছে বাংলা সিনেমার সংলাপের মতো। লতা জোরে জোরে কাঁদছে। সে চিৎকারে ভয় পেয়েছে। মোতা লতাকে কোলে নিয়ে চলে গেল। মোটুমামা ঘোষণা করল, ‘আমরা সেখানে সঙ্গে করে নিয়ে যাব মোবাইল সিসি ক্যামেরা।’

পোতা অবাক হয়ে জিগ্যেস করল, ‘মোবাইল সিসি ক্যামেরা মানে কী?’
মোটুমামা বলল, ‘ভ্রাম্যমাণ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। একটা করে সিসি ক্যামেরা থাকবে আমাদের গোয়েন্দাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যর হাতে। ধাক্কাধাক্কি করা ক্রিমিনালরা যখন পালাবে তখন গোয়েন্দাবাহিনীর সদস্যরা তাদের ফলো করবে। সিসি ক্যামেরার আওতার বাইরে কেউ যেতে পারবে না। ক্রিমিনালরা সকলেই ধরা পড়বে।’
মোতা লতাকে রেখে ফিরে এসেছে। মোটুমামা কী বলেছে সে শুনতে পায়নি। তখন তাকে আবার পুরো প্ল্যান বলতে হয়েছে।
পোতা বলল, ‘ঝামেলা আছে। অতগুলো সিসি ক্যামেরা কিনবে কেমন করে? টাকা-পয়সার কী অবস্থা?’
মোটুমামা বলল, ‘ক্যামেরা দেবে পুলিশ।’
পোতা বলল, ‘পুলিশের কাছে যদি মোবাইল সিসি ক্যামেরা থাকে তাহলে তোমাকে দেবে কেন? তারা নিজেরেই সেট করবে।’

মোটুমামা আবার ফাটা বেলুনের মতো ফুস করে চুপসে গেল। পোতা তাকে হতাশ করল না। পোতা বলল, ‘ভোটের অমোচনীয় কালি জোগাড় করো। যে কালি ভোটে ব্যবহার করা হয়।’
কয়েকদিন আগে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়ে গেছে। বাবা আর মা ভোট দিয়ে এলে পোতা তাদের আঙুলে অমোচনীয় কালি দেখেছে।
মোটুমামা জানতে চাইল, ‘অমোচনীয় কালি দিয়ে কী হবে?’
পোতা বলল, ‘চাঁদা তোলো। ওয়াটারগান কিনতে হবে।’
তখন তারা মিটিংয়ে বসল। মোটুমামাসহ খুদে গোয়েন্দাবাহিনীর সকলে এসেছে। সবাইকে খুব উত্তেজিত মনে হচ্ছে। পোতা তাদের আগামী পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিচ্ছে।

দলের মোট সদস্য সংখ্যা হয়েছে ১২ জন। কিন্তু বয়সের বিবেচনায় ৪ জনকে অপারেশনে নেওয়া যাচ্ছে না। তাদের ভেতর লতা একজন। সে বাদ পড়েছে। লতা যে অপারেশনে যেতে পারছে না তাতে তার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সে আছে মহা আনন্দে। লম্পঝম্প দিয়ে খেলা করছে। তবু তাকে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। মোটুমামা বলে, ‘দলের প্রত্যেক সদস্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
মোটুমামা নওয়াবপুর থেকে ৪ শিশি অমোচনীয় কালি জোগাড় করে ফেলেছে। আর কম দামে ৮টা প্লাস্টিকের তৈরি খেলনা ওয়াটারগান কিনে এনেছে।
পয়লা বৈশাখের দিন মোটুমামা খুদে গোয়েন্দাবাহিনী নিয়ে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে গিয়ে হাজির। সবার কাছে লুকানো ওয়াটারগান। তাতে অমোচনীয় কালি ভরা হয়েছে। কার কী কর্তব্য তা আগে থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া আছে।

অনুষ্ঠানে মানুষের ভীড় বাড়ছে। ভীড় বাড়তে বাড়তে এক সময় উপচে পড়ল মানুষ। তখন সত্যি সত্যি ধাক্কাধাক্কি শুরু হলো। কয়েকজন দুষ্টু ছেলে ভীড়ের ভেতর বাচ্চা আর মেয়েদের ধাক্কা দিতে থাকল।
সেই সময় কাজে লেগে গেল খুদে গোয়েন্দাবাহিনীর সদস্যরা। তারা বড় একজন মানুষের আড়ালে লুকিয়ে পড়ল। তারপর হাতে ধরা ওয়াটারগান দিয়ে দুষ্টু লোকের মুখে অমোচনীয় কালি ছুঁড়ে দিল। ঘটনা কী ঘটছে কেউ কিছু বুঝতে পারল না। দুষ্টু লোকগুলো ভেবেছে মুখে পানির ঝাপটা এসে লেগেছে।
মোটুমামা তখন পোতাকে নিয়ে চলে গেল পুলিশের কাছে। পুলিশকে ঘটনা খুলে বলল।

দুষ্টু লোকগুলো একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে চোখ বড় বড় করে ফেলেছে। বুঝতে পেরেছে তাদের মুখে পানির ঝাপটা লাগেনি। কালি লেগেছে। কালি ভরে মুখ কালো হয়ে গেছে। তারা হয়েছে দিশেহারা। দৌড়ে পাশের খাবার হোটেলে গিয়ে ঢুকেছে। পানি দিয়ে মুখ ধুয়েছে। পানিতে অমোচনীয় কালি ওঠেনি। মুখপোড়া হনুমানের মতো তাদের মুখও কালো হয়ে গেছে।
পুলিশ এসে ভীড়ের ভেতর থেকে খুঁজে বের করেছে কার কার মুখে অমোচনীয় কালি আছে। তাদের থানায় ধরে নিয়ে গেছে। পরে সিসিটিভিতে মুখে কালিমাখা ওইসব লোকদের দেখে চিনতে পেরেছে। তখন তাদের সকলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

পরদিন খবরের কাগজে ওদের সংবাদ বের হলো। বড় বড় হেডিংয়ে লিখেছে ‘পয়লা বৈশাখের ঘটনায় খুদে গোয়েন্দাবাহিনীর কৃতিত্ব’। সবগুলো খবরের কাগজে মোটুমামাসহ গোয়েন্দাবাহিনীর ছবি। বিবিসি, সিএনএনসহ দেশি-বিদেশি সবগুলো টেলিভিশন চ্যানেল ঘুরেফিরে ওদের সাক্ষাৎকার প্রচার করছে। মোটুমামা ও খুদে গোয়েন্দাবাহিনীর বিশাল সাফল্যের কথা ছড়িয়ে পড়ল সারাদেশে। আর দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে।
   





রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/তাপস রায়      
   

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়